জনগণ এই সরকারের ভোট ডাকাতদের তালিকা তৈরি করে ফেলেছে। আজ দেশ আওয়ামী লীগের দুর্নীতি, লুটপাট ও দুঃশাসনে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠিত। মানুষ ঠিকমতো একবেলা খেতে পারছে না। এই সরকার জনগণের কথা ভাবছে না। জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। তারা ভাবছে কিভাবে ফ্যাসিস্ট কায়দায় ক্ষমতায় টিকে থাকা যায় এবং বিএনপি ও বিরোধী দলকে কিভাবে দমন করা যায়।
গত শনিবার, (২৭ আগষ্ট), বিকালে মুরাদপুর এন মোহাম্মদ কনভেনশন সম্মুখে পাঁচলাইশ থানা বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত গণ মিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি'র আহবায়ক ডাঃ শাহাদাত হোসেন এসব কথা বলেন।
জ্বালানি তেল ও নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিসহ অসহনীয় লোডশেডিং এবং ভোলায় গুলিতে নূরে আলম ও আবদুর রহমানকে হত্যার প্রতিবাদে এই মিছিলের আয়োজন করা হয়।
মুরাদপুর এন মোহাম্মদ কনভেনশনের সামনে থেকে মিছিল শুরু করে মুরাদপুর, মির্জাপুর, পাঁচলাইশ থানার সামনে দিয়ে এসে পার্কভিউ হসপিটাল এর সামনে এসে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সম্প্রতি আওয়ামী লীগের মন্ত্রী এমপিদের বক্তব্যের সমালোচনা করে কোতোয়ালি-বাকলিয়া আসনে বিএনপির সংসদ সদস্য প্রার্থী ডাঃ শাহাদাত হোসেন আরো বলেন , বিএনপি জামাতের তালিকা করতে হবে না। জনগণ ইতিমধ্যেই আওয়ামী ভোট ডাকাতদের তালিকা তৈরি করে ফেলেছে। পাড়া মহল্লায় যারা আওয়ামী লীগের যে সব সন্ত্রাসী, মা বোনের ইজ্জত হরণকারী, লুটপাটকারি চাঁদাবাজ ও মানুষের ভোট কেড়ে নিয়েছে তাদের তালিকা হয়ে গেছে। এই তালিকা ধরে ধরে জনতার আদালতে তাদের বিচার হবে । বিএনপি নেতাকর্মীদের তালিকা না করে কিভাবে আপনাদের দুঃশাসন, দুর্নীতি, লুটপাট থেকে রেহাই পাবেন সেই চিন্তা করেন।
এতে প্রধান বক্তার বক্তব্যে দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব আবু সুফিয়ান বলেন, বিএনপির শান্তিপূর্ণ মিছিল সমাবেশ করছে। কিন্তু একটি কুচক্রী মহল আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে। গতকাল দক্ষিণ জেলা বাঁশখালীতে আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলের উপর হামলা চালিয়ে আমাদের অসংখ্য নেতা নেতাকর্মীদের আহত করেছে। এখন শুনছি আবার নাকি মামলা ও দিয়েছে। এই জালিম সরকার জনগণের উপর জুলুম নির্যাতন চালিয়ে বেশিদিন ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না। জনগণ জেগে উঠেছে। আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের পতন হবে ইনশাল্লাহ।
পাঁচলাইশ থানা বিএনপির সভাপতি মামুনুল ইসলাম হুমায়ুনের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক মনির আহমদ চৌধুরীর সঞ্চালন অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ন আহ্বায়ক শফিকুর রহমান স্বপন, ইয়াসিন চৌধুরীর লিটন, ইসকান্দর মির্জা, আহবায়ক কমিটির সদস্য আশরাফ চৌধুরী, আর.ইউ চৌধুরী শাহিন,আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, মো. কামরুল ইসলাম, নগর যুবদলের সভাপতি মোশারফ হোসেন দীপ্তি, সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহেদ, বিএনপির নেতা এম. এ বাতান, কাজী শামসুল আলম, মোঃ আসলাম, শায়েস্তা খান, আক্তার হোসেন লেদ, বাবুল কোম্পানি, মোহাম্মদ আলী, সাইদুল রহমান বেলাল, তারেক রশিদ, এরশাদুল ইসলাম, মকবুল হোসেন খোকন, জাহিদুল হাসান খান, মোহাম্মদ সাদাত হোসেন ওয়াসিম, ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাসান চৌধুরী ওসমান, সিরাজুল ইসলাম মুন্সী, মোঃ হাসান,থানা বিএনপি নেতা,শিহাবুদ্দিন রিয়াজ, মাসুদ আহমদ রানা, মোহাম্মদ শাহ আলম, মোহাম্মদ জাকির হোসেন, মিজানুর রহমান, নগর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশা, নগর স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা জিয়াউর রহমান জিয়া, জমির উদ্দিন নাহিদ, নগর যুবদল নেতা মোঃ মুসা, ইকবাল পারভেজ, তহিদুল ইসলাম রাসেল, এরশাদ হোসেন, নগর ছাত্রদল নেতা আসিফ চৌধুরী লিমন, সামিয়া আমিন জিসান, মাহবুবুর রহমান বাবু যুবদল নেতা মোহাম্মদ আলী সাকি,শেখ মোহাম্মদ রাসেল, আরিফ উদ্দিন রুবেল ছাত্রদল নেতা সাজ্জাদ হোসেন, আতিক হাসান চৌধুরী প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
প্রধান সম্পাদক প্রদীপ শীল - ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মোহাম্মদ আলাউদ্দীন।