সরকারী সড়ক ব্যবহার করলে গ্রামের দুই শতাধিক পরিবারকে দিতে হবে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা। না দিলে তিনজনকে মেরে ফেলার হবে। ইতিমধ্যে নিজের ভাইসহ কয়েকজনকে মেরে আহত করেছে। রাউজানে এমন এক ব্যক্তির অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী। মঙ্গলবার (০৩ ডিসেম্বর) দুপুরে রাউজান উপজেলর কদলপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যম কদলপুর গ্রামের সৈয়দ আলী মোল্লা বলির বাড়িতে ওই ব্যক্তির শাস্তির দাবিতে মাননবন্ধন কর্মসূচী পালন করেন নানা বয়সী নারী-পুরুষ। অভিযুক্ত ব্যক্তি হলেন ওই এলাকার সৈয়দ আলী মোল্লা বলির বাড়ির জহুর মিয়ার ছেলে সৈয়দ মো. মোরশেদুল হক। স্থানীয়দের অভিযোগ, মোরশেদ কখনো মানুষকে হত্যার হুমকি, কখনো মারধর কিংবা পিটিয়ে আহত করা, কখনো রাস্তা তৈরিতে বাঁধা আবার কখনো সড়ক দিয়ে চলাচলে বাঁধা এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানিসহ নানা অপকর্ম করে যাচ্ছে। মোরশেদের অত্যাচার থেকে বাদ যায়নি তার আপন ভাই সৈয়দ মোহাম্মদ মোহসেনও। তার উপর চালানো নির্যাতনের বর্ণনা দিতে গিয়ে অঝোড়ে কাঁদলেন তিনি।বয়সের ভারে নুয়ে পড়া ৯২ বছর বয়সী আনোয়ার মিয়া বলেন, তার অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ। তার শাস্তি দাবি করেন তিনি।এদিকে মোরশেদুল হকের অত্যাচারের কথা বলতেই কান্না শুরু করে দেন প্রবাসীর স্ত্রীর শাহেদা আকতার। তিনি বলেন, সে চারজনকে খুন করেই নাকি থামবে। আমাকে এবং আমার স্বামীকে প্রতিনিয়ত হুমকি দিচ্ছে। স্থানীয়দের দাবি এতদিন সবাই মুখবুঝে সহ্য করলেও তার বেপরোয়া আচরণের প্রতিবাদে এই মানববন্ধন কর্মসূচী। প্রবাসী মাহমাদুল হক বলেন, আমি ২০ বছর ধরে প্রবাসে থাকি। ছুটিতে আসলে সে রাস্তা তৈরির জন্য ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছে। আমি টাকা না দেয়ায় আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি ধমকি এবং মিথ্যাক মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। সরকারি ইট নিয়ে যাওয়ার অভিযোগও করেন তিনি। তার বিরুদ্ধে ১০-১৫টি মামলা আছে। তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন ভুক্তভোগী নানা-বয়সী নারী-পুরুষ।
প্রধান সম্পাদক প্রদীপ শীল - ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মোহাম্মদ আলাউদ্দীন।