জরুরী সেবা অফিসের দরজা বন্ধ,আবার কোন অফিসে ঝুলছিল তালা।পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন বিভিন্ন প্রান্থ থেকে আসা সেবা প্রার্থীরা। দিনভর এমন ভোগান্তি ছিল রাউজানে অবস্থিত চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর কার্যালয়ে। জানা যায়, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি) ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির একীভূতকরণসহ চার দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের গণছুটি নামে কর্মবিরতি শুরু করেছেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। গতকাল রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর সকাল থেকে শুরু হওয়া এই কর্মবিরতির কারণে বন্ধ ছিল জরুরী সেবাসহ সকল প্রকার সেবাদান কার্যক্রম। এতে চরম ভোগান্তীতে পড়তে হয় পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকদের। উপজেলার চিকদাইর ইউনিয়ন থেকে আসা সেবাপ্রত্যাশি মুসলিম উদ্দিন বলেন, ‘আমরা জরুরী সেবার জন্য এসেছিলাম। এখানে এসে দেখি কেউ নেই। ফিরে যাচ্ছি।’ সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, রাউজানে অবস্থিত চট্টগ্রাম পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-২ এর আওতায় ২ শতাধিক কর্মকর্তা কর্মচারী রয়েছেন। গত ৩১ আগস্ট থেকে চতুর্থ বারের মতো বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি) ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) মধ্যকার বৈষম্য দূরীকরণ ও অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়নসহ চার দফা দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন তারা। শুরুর পর থেকে বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করলেও সকল ধরনের সেবাদান কার্যক্রম চালু ছিল। আন্দোলনরত কর্মকর্তা কর্মচারীদের প্রতিনিধিরা তাদের বক্তব্যে অভিন্ন সার্ভিস কোড বাস্তবায়ন, সকল চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের নিয়মিতকরণ, মামলা প্রত্যাহারসহ চাকরি চ্যুতদের চাকরিতে পুনর্বহাল, হয়রানিমূলক বদলী প্রত্যাহার করাসহ পূর্বের কর্মস্থলে পোস্টিং প্রদান এবং আরইবি এর দুর্ণীতিবাজ কর্মকর্তাদের দুর্ণীতির তদন্তসহ বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়। এসব দাবি বাস্তবতায়নে প্রধান উপদেষ্ঠাসহ সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়। প্রসঙ্গত, গত ২০২৪ সালের ২৮ জানুয়ারি থেকে বৈষম্যমূলক চাকুরী নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামেন দেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
প্রধান সম্পাদক প্রদীপ শীল - ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মোহাম্মদ আলাউদ্দীন।