কোরবানী ঈদকে সামনে রেখে রাউজানে আগাম পশু বেচা-কেনার ধূম পড়েছে লালন পালন করা খামার গুলোতে। ন্যায্য দামে ক্রয় করে কোরবান পষর্ন্ত খামারে রাখার সুবিধা গ্রহণ করছে ক্রেতারা। এবার রাউজানে শীর্ষ পর্যায়ে উঠে এসেছে ‘বারকা এগ্রো ফার্ম’একটি খামারের নাম। উপজেলার ডাবুয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ হিঙ্গলা শান্তি নগর গ্রামে খামারটির অবস্থান। চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়কের অপরাজিতা সেবাশ্রম সংলগ্ন দক্ষিণ হিঙ্গলা সড়ক দিয়ে এক কিলেমিটার পথ পাড়ি দিলে মিলবে বারাকা এগ্রো ফার্মটি। যাতায়ত সুবিধা ভালো হওয়ায় ক্রেতাদের জন্য এটি পছন্দনীয় খামার। এ ফার্মে সম্পূর্ণ প্রকৃতিক উপায়ে পশুদের লালন পালন করা হয়েছে। তাই কোরবানীর পশুরজন্য খামারটির প্রতি মানুষের আকর্যন সর্বাধিক। বারাকা এগ্রো পরিদর্শন কালে দেখা গেছে দেড় লাখ টাকা থেকে ১০ লাখ টাকা দামের গরু রয়েছে প্রায় দেড় শতাধিক। ছোট ও মাঝারি সাইজের গরুর পাশাপাশি রয়েছে বড় জাতের গরুর বিশাল সমাহার। খামারে সবচেয়ে বড় একটি ষাঁড় গরু রয়েছে। তার নাম রাখা হয়েছে ‘বাদশা’। প্রায় ১৮/২০ মন ওজনের গরুটি বিক্রি করা হবে একদামে ১০ লাখা টাকায়। মাঝারি সাইজের আরো ষাঁড় রয়েছে ৮/৫ লাখ টাকা দামের ১৫/ ২০টি। ৩ থেকে দেড় লাখ টাকা দামের ষাঁড় রয়েছে প্রায় ৩০টি। একটি কিনলে একটি ফ্রি অফারও রয়েছে বারাকা এগ্রোতে। খামারের দায়িত্বে থাকা মোহাম্মদ জুয়েল নামে এক ব্যক্তি জানান, ন্যাচারের খাওয়া ও প্রকৃতিক পরিবেশে কোরবানীর জন্য গরু গুলো প্রস্তুত করা হয়েছে। গো-খাদ্যে কোন প্রকার মেডিসিন ব্যবহার করা হয়নি। পুষ্টিকর খাদ্য ও ন্যাচারেল ঘাঁস খাওয়ানো হয়েছে পশু গুলোকে। এলাকার লোকজনের কাছে আমাদের ফার্মটি জনপ্রিয় ও আস্থার ঠিকানা। তাই আমাদের গরুর চাহিদা সবচেয়ে বেশি। ইতিমধ্যে অর্ধশত গরু বিক্রি হয়ে গেছে। ‘বারাকা এগ্রো ফার্মের মালিক ক্রীড়া সংগঠক সৌখিন খামার উদ্যেক্তা সুমন দে বলেন, রাউজানের সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর অনুপ্রেরণায় এগ্রো ফার্মটি গড়ে তুলি। গত দুই বছর কোরবানী ঈদে দুই শাতাধিক গরু বিক্রি করা হয়েছে। এই বছর উন্নত জাতের বাচুর সংগ্রহ করে সম্পূর্ণ প্রকৃতিক উপায়ে সৃষ্ট খাবার খাওয়ানো হয়েছে পশু গুলোকে। পুষ্টিকর খাওয়ার ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশে এ গুলোকে লালন পালন করা হয়েছে। তিনি বলেন, ফিজিয়ান,শাহিওয়াল, সিদ্ধি, হারিয়ানা, ব্রাহম্যান, হলস্টিন ও দেশিয় জাতের উন্নত গরু খামারে প্রস্তুত করা হয়েছে। কোরবানীদের জন্য এবার ষ্পেশাল অফার ১০ লাখ টাকার ‘বাদশা’ কিনলে একটি গরু সম্পূর্ণ ফ্রি। থাকছে ৮/৫ লাখ টাকা দামের গরু কিনলে বিশেষ মূল্যে ছাড়সহ নানা পুরুস্কার।
প্রধান সম্পাদক প্রদীপ শীল - ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মোহাম্মদ আলাউদ্দীন।