রাউজানের চিকদাইর ইউনিয়নের জনগুরুত্বপূর্ণ গ আকবর শাহ্ সেকশন-২ সড়কটির দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় পড়েছে রয়েছে, সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেই। এতে স্থানীয় জনসাধারণের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, চিকদাইর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে থেকে করম আলী হাজী বাড়ির টেক পর্যন্ত এক কিলোমিটার সড়ক বেহাল দশা।সড়কটির কিছু অংশ সর্তা খালের ভাঙ্গনে ধসে পড়েছে। এই এক কিলোমিটার সড়কের ইটের সলিং উঠে গিয়ে খানাখন্দে ভরপুর হয়ে কর্দামক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। স্থানীয় জনসাধারণের চলাচলের ভোগান্তির শেষ নেই।
জানা যায়,প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে হাজারো মানুষ চিকদাইর হক বাজার, চিকদাইর ইউনিয়ন পরিষদ, রাউজান উপজেলা সদর,ডাবুয়া ইউনিয়ন,নোয়াজিষপুর, গহিরা ও ফটিকছড়িসহ বিভিন্ন স্থানে জরুরি কাজে যাতায়াত করে থাকেন। বর্তমানে সড়কটি দিয়ে যানবাহন চলাচল একেবারে বন্ধ হয়ে পড়েছে।একদিকে সর্তা খালের ভাঙ্গন-অন্যদিকে সড়কের এই অবস্থা,দেখার যেন কেউ নেই।
স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ আজম বলেন, সর্তা খালের ভাঙন আর সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় সড়কের বেহাল দশা। সড়কের বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ ও গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে পানি জমা থাকে।এতে সড়ক দিয়ে সিএনজি অটোরিকশা, কার-মাইক্রো যানবাহন চলাচল অনেকটা বন্ধ।ছোটখাটো রিক্সা, ভ্যান গাড়ি চলাচল করতে হয় অনেক ঝুঁকি নিয়ে।
রিক্সা চালক আবুল কালাম বলেন, আকবর শাহ্ সড়কটির সংস্কার না হওয়ায় আমাদের ঝুঁকি নিয়ে রিক্সা চলাচল করতে হয়।দীর্ঘদিন যাবত সড়কটি সংস্কার না করায় বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে, যা চলাচলে সমস্যা সৃষ্টি করছে। বৃষ্টি হলে পানি জমে যাওয়ায় সড়কটি আরও খারাপ হয়ে যাচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষ, রোগী ও বয়স্কদের চলাচলে খুবই অসুবিধা হচ্ছে। স্থানীয়দের দাবি, জনগুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় দ্রুত সড়কটি সংস্কার করা হোক।
জানা গেছে ,১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ‘হযরত আকবর শাহ সড়ক’ সেকশন-২ এর কিছু অংশ বিগত সরকারের আমলে সড়ক উন্নয়নের কাজ ধরলে ঠিকাদার কাজ পেলে উধাও হয়ে যায়। দুই বছর হলেও এখন কাজ শেষ করেনি ঠিকাদার। এই সড়কটি আরও এক কিলোমিটার বেহাল দশা।
এবিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী আবুল কালাম জানান- ঠিকাদার পেলে রাখা আকবর শাহ্ সেকশন সড়ক-২ এর কিছু অংশ উন্নয়ন কাজ শীঘ্রই শেষ করা হবে এবং সড়কটির বাকি অংশের সংস্কারের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হবে। বরাদ্দ পেলে সংস্কার কাজ শুরু করা হবে।
প্রধান সম্পাদক প্রদীপ শীল - ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মোহাম্মদ আলাউদ্দীন।