রাউজানে পাকা বোরো ধান কাটা-মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক-শ্রমিকরা। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলছে ধান কাটা আর মাড়াইয়ের মহোৎসব। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় দ্রুত কাটা হচ্ছে ধান।এবার ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকের মুখে যেন হাসির ঝিলিক দেখা দিয়েছে। সরেজমিনে দেখা গেছে,এ উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের বৃন্দাবন, বৃক্ষভানপুর, জানিপাথর,সেবাখোলা,এয়াছিন নগর,উত্তর সর্তা,ডাবুয়া ইউনিয়নের হিংগলা,উত্তর হিংগলা,কলমপতি, পশ্চিম ডাবুয়া, চিকদাইর ইউনিয়নের রগুন্দ বিল, দক্ষিণ সর্তা, নোয়াজিষপুর ইউনিয়নের ফতেনগর,নদিমপুর, গহিরা ইউনিয়নের কোতোয়ালী ঘোনা, দলই নগর ও রাউজান পৌর এলাকায় প্রায় ধান কাটা শেষ, চলছে ধান মাড়াইয়ের কাজ।এছাড়া উপজেলার বিনাজুর ইউনিয়ন, ৭নম্বর রাউজান ইউনিয়ন, কদলপুর ইউনিয়ন, পাহাড়তলী ইউনিয়ন,পুর্ব গুজরা ইউনিয়ন,পশ্চিম গুজরা ইউনিয়ন, নোয়াপাড়া ইউনিয়ন,বাগোয়ান ইউনিয়ন ও উরকিরচর ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকায় চলছে ধান কাটা, মাড়াই ও পরিবহনে কৃষক-শ্রমিকদের ব্যস্ততা।তীব্র গরমের মাঝেও কৃষক-শ্রমিকরা ধান কেটে আঁটি বেঁধে রেখেছেন ক্ষেতের মাঝেই। পড়ন্ত বিকালে সেই আঁটি মাথায় কিংবা গাড়িতে পরিবহন করে বাড়ি ফিরছেন কৃষকরা। বাড়িতে চলছে ধান মাড়াইয়ের কাজ।এখন কেউ বসে নেই, বাড়ির কৃষক- কৃষাণি,গৃহবধূ এমনকি কিশোর-কিশোরীরাও। বাড়ির আঙিনায় ধান শুকাতে গোবর-মাটি দিয়ে প্রস্তুত করেছে বাড়ির উঠান। ধান মাড়াইয়ের পর রোদে শুকিয়ে, সেই ধান গোলায় তুলতে ব্যস্ত সবাই। হলদিয়া ইউনিয়নের এয়াছিননগর গ্রামের কৃষক মোহাম্মদ আফছার জানান,এবার দুই একর জমিতে বোরো চাষাবাদ করা হয়েছে।প্রতি একর খরচ হয়েছে ৪০হাজার টাকা করে। তবে ফলনও ভালো হয়েছে।একই এলাকার কৃষক আহমদ চ্ছাপা জানান, তিনি বৃন্দাবন এলাকায় আড়াই একর জমিতে বোরোধান চাষাবাদ করেছেন। প্রতি একর জমিতে খরচ হয়েছে ৩৫-৪০ হাজার টাকা করে। ফলনও হয়েছে ভালো। তবে ধান কাটা শ্রমিকের মজুরী একটু বেশি। বর্তমানে একজন শ্রমিকের বেতন ১০০০ হাজার থেকে ১২'শ টাকা পর্যন্ত। ধান কাটা শেষ হয়েছে। এখন বাড়িতে মাড়াই আর রোদে শুকানো হচ্ছে। রাউজান উপজেলা কৃষি অফিসার মাসুম কবির জানান, এ বছর রাউজান উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় ৫ হাজার ৮০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষাবাদ করা হয়েছে। এরমধ্যে ১ হাজার ৪শত ৬০ হেক্টর জমিতে হাইব্রীড ও ৩ হাজার ৬শত ২০ হেক্টর জমিতে উফশী জাতের ধানের চাষাবাদ করা হয়েছে। ৫ হাজার ৮০ হেক্টর জমি থেকে ২৫ হাজার মেট্রিক টন শুকনা ধান উৎপাদন হবে। এবছর বোরোধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে বেশি ফলন হওয়ায় কৃষকরা খুশি।
প্রধান সম্পাদক প্রদীপ শীল - ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মোহাম্মদ আলাউদ্দীন।