সূর্যমুখী, ভুট্টা,সরিষা,ধান,বিভিন্ন ধরনের সবজি আর ধান চাষ করে সফলতা পেয়েছেন রাউজান উপজেলার পূর্ব গুজরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্বাস উদ্দিন আহমেদ। রাউজানের সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর অনুপ্রেরণায় তিনি প্রায় ২৫ একর জমিতে চাষাবাদ করেছেন। তার এই সফলতায় ওই ইউনিয়নের কৃষকদের প্রেরণার উৎস হয়ে উঠেছেন ইউপি চেয়ারম্যান । আশপাশের অন্য কৃষকরাও এখন এসব মূল্যবান ও পুষ্টিকর ফসল চাষে আগ্রহ প্রকাশ করছেন। ইউপি চেয়ারম্যানের এসব ফসলের জমিতে প্রতিদিন ভিড় করছেন এলাকার দর্শনার্থীরা। অনেকে আবার বিনোদন পেতে ও দিতে ছুটে যাচ্ছে সেখানে। তুলছে ছবি, করছে ভিডিও; বানাচ্ছে টিকটক কিংবা রিল ভিডিও । বাবার মনোমুগ্ধকর সূর্যমুখী খেতে ছুটে যান তার সন্তান ও নাতি নাতনিরাও। জানা যায়, রাউজান উপজেলার পূর্বগুজরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্বাস উদ্দিন আহমেদ তার ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডে মধুখালী বিলে প্রায় দুই কানি কৃষি জমিতে সূর্যমুখী ফুল, ১২ কানি জমিতে ভুট্টা, ২ কানি জমিতে সরিষা, ৪-৫ কানিতে মরিচ, আলু, টমেটো, ৪০ কানি জমিতে ধান ৪০ রোপন, ভেন্ডিসহ বিভিন্ন ধরনের সবজির চাষাবাদ করেন। বর্তমানে তার কৃষি ক্ষেতে মাসিক চুক্তিভিত্তিক ৩ জন কাজ করেন। ধান রোপন কিংবা কাটার সময়ে দৈনিক চুক্তিভিত্তিক কাজ করেন ১৫ জন।ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্বাস উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে,তার দাদা হাজী আজগর আলী প্রচুর চাষাবাদ করতেন। ছোট বেলায় দাদার সাথে তিনিও যেতেন ক্ষেতে। পরবর্তীতে তার বাবা আলহাজ্ব বকশো মিয়া মেম্বারের সাথে কৃষি কাজ করতেন।বাবার আমলে ৫০ কানি চাষাবাদ করতো। বংশপরম্পরায় বাপ-দাদার আমলের জমি আর কিছু বর্গা জমিতে তিনিও কৃষি কাজ করে আসছেন। কৃষি কাজের পাশাপাশি মাছের চাষ করলেও ভবিষ্যতে গরুর খামার গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে তার। ১৯৯৩ সালে প্রথম ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। বর্তমানে তিনি ৫ বারের ইউপি চেয়ারম্যান৷ ২০১৭ সালে ইউনিয়ন পরিষদে প্রথম ছাদ বাগান গড়ে তোলেন। রাউজানের সংসদ সদস্য জননন্দিত নেতা এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর অনুপ্রেরণার তিনি প্রায়৩০ হাজার আমসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ বৃক্ষ রোপন করেছিলেন। তৎমধ্যে ৫ কিলোমিটারের এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী ও ফারাজ করিম চৌধুরী পার্কে ৯ হাজার গাছের চারা রোপন করেছিলেন।
প্রধান সম্পাদক প্রদীপ শীল - ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মোহাম্মদ আলাউদ্দীন।