দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ হালদায় কার্পজাতীয় (রুই, কাতলা, মৃগেল, কালিবাউস) মা মাছ অল্প‘নমুনা ডিম’ছেড়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮মে) হালদা নদীর নয়াহাট এলাকার কয়েকটি পয়েন্টে নমুনা ডিম ছেড়েছে বলে জানিয়েছেন ডিম সংগ্রহকারীরা। গত বুধবার (১৭মে) বিকালেও নদীর কিছু কিছু অংশে এ নমুনা ডিম পাওয়া যায়। বজ্রপাতসহ বৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢল হালদায় প্রবেশ করলে মা মাছ পুরোদমে ডিম দেবে বলে আশা করছেন ডিম সংগ্রহকারীরা। সরেজমিনে দেখা গেছে হালদার নদীর দু'পাড়ে ডিম সংগ্রহকারীরা হালদার কাগতিয়ার আজিমের ঘাট, খলিফার ঘোনা,পশ্চিম গহিরা অংকুরী ঘোনা, বিনাজুরী, সোনাইর মুখ, আবুরখীল, খলিফার ঘোনা, সত্তারঘাট, দক্ষিণ গহিরা, মোবারকখীল, মগদাই, মদুনাঘাট, উরকিচর এবং হাটহাজারী গড়দুয়ারা, নাপিতের ঘাট, সিপাহির ঘাট, আমতুয়া, মার্দাশা এলাকায় নৌকা, বাঁশের ভেলা ও জাল নিয়ে অপেক্ষার প্রহর গুনছে।ডিম সংগ্রহকারী রোঙ্গির আলম ও কামাল সওদাগর জানান,এখনো পুরোদমে ডিম ছাড়েনি মা মাছ।আরো টানা দুই-তিনদিন বজ্রপাতসহ বৃষ্টি পাহাড়ি ঢল নেমে এলে হালদায় ডিম দেবে মা মাছ। হালদা নদীর উপর পিএইচডি ও মাস্টার্স থিসিস ডিগ্রি অর্জনকারী হালদা গবেষক ড. শফিকুল ইসলাম বলেন, এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া প্রজনন মৌসুমের তিনটি জোঁ অতিক্রম হলেও হালদায় দেখা মেলেনি কার্পজাতীয় মাছের কাঙ্ক্ষিত ডিমের। কিন্তু মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া চতুর্থ জোঁ এর গতকাল বুধবার রাতে হালদার কিছু কিছু স্পনিং গ্রাউন্ডে খুবই সামান্য পরিমাণে নমুনা ডিমের উপস্থিতি দেখা মিলেছে। পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতসহ পাহাড়ি ঢল নামলে দুই-একদিনের মধ্যে ডিম ছাড়বে কার্পজাতীয় মা মাছ। রাউজান উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা পীযূষ প্রভাকর বলেন, হালদা নদীতে এখনো ডিম ছাড়েনি মা মাছ। তবে কিছু কিছু স্পনিং গ্রাউন্ডে সামান্য নমুনা ডিমের দেখা মিলেছে।
প্রধান সম্পাদক প্রদীপ শীল - ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মোহাম্মদ আলাউদ্দীন।