শাহাদাত হোসেন সাজ্জাদ,রাউজান (চট্টগ্রাম)
চট্টগ্রামের রাউজানে আইন অমান্য করে পুকুর খননের নামে কাটা হচ্ছে কৃষি জমি ও শ্রেনী পরিবর্তন করে কৃষি জমি ভরাটের মহোৎসব চলছে। প্রশাসনকে বৃদ্ধা আঙুল দেখিয়ে খননকৃত মাটি ইটভাটাসহ কৃষি জমি ভরাটে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে প্রতি ট্রাক আড়াই হাজার টাকা করে বিক্রি করা হচ্ছে। মাটি বহনে থাকা বড় বড় ড্রাম ট্রাকে গুলোতে অতিরিক্ত মাটি পরিবহন করায় নষ্ট হচ্ছে উপজেরার জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক, গ্রামীণ রাস্তাঘাট,কালভার্ট, ব্রিজ। ট্রাক থেকে মাটি পড়ে সড়কগুলো এখন কাদার সড়কে পরিণত হয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়কগুলো মরণ ফাঁদে পরিণত হবে বলে জানান স্থানীয়রা। সরেজমিনে দেখা গেছে, রাউজান ইউনিয়নের আর্যমৈত্রেয় স্কুলের পিছনে বড়ুয়া পাড়া এলাকায় পুকুর খননের নামে এস্কেভেটর দিয়ে মাটি কেটে ট্রাকে ট্রাকে সেই মাটি বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়াও রাউজান পৌর নয় নম্বর ওয়ার্ডের কাজীপাড়া এলাকায় ১০১ ইটভাটার পাশে মাছ চাষের নামে এক একর কৃষি জমি কাটা হচ্ছে। হলদিয়া ইউনিয়নে কেচিয়া খালের উৎপত্তি স্থলে বন বিভাগের টিলা ও কৃষি জমি কেটে মাটি বিক্রি করছেন মুসা ও তছলিম উদ্দিন নামে ব্যক্তি।তছলিম উদ্দিনের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা কোন কৃষি জমি বা টিলা কাটছিনা। মাছ চাষের জন্য পুরানো পুকুর খনন করছি। প্রশাসনের অনুমতির বিষয়ে জানতে চাই তিনি বলেন, কোন অনুমতি নেননি। ২০১৬ সালের কৃষিজমি সুরক্ষা আইনের (খসড়া আইন)-৪ ধারায় বলা রয়েছে, কৃষিজমি ভরাট বা খনন করতে স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। কিন্তু এই আইনের তোয়াক্কা না করে নির্বিচারে ফসলি জমি ভরাট করা এবং কাটা হচ্ছে। বিভিন্ন গ্রামে ফসলি জমিতে মাটি ভরাট করে বসতভিটা নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রতি বছরই এভাবে কমছে কৃষিজম। কৃষি জমি ভরাট ও কাটার বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছেন না উপজেলা প্রশাসন। বিষয়ে রাউজান উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) অংছিং মারমা বলেন, কৃষি জমি থেকে মাটি কাটা ও কৃষি জমি ভরাট বন্ধ করতে উপজেলা প্রশাসন সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে কয়েকটি অভিযান পরিচালনা করে মাটি কাটার যন্ত্র ভেকু জব্দ ও জরিমানা করছি। তবে যারা কৃষি জমির মাটি কাটছেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply