চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) ক্যাম্পাসে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষ/লেভেল-১ এর চুয়েট, কুয়েট ও রুয়েটের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ১৩ নভেম্বর (শনিবার) সকাল ১০টা থেকে একযোগে স্ব-স্ব বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে উক্ত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। চুয়েট ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম সকালে বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এ সময় কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সভাপতি ও চুয়েট পুরকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মইনুল ইসলাম, কুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মহিউদ্দিন আহমদ, রুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মাসুদ রানা এবং চুয়েটের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। জানা যায় এম.সি. কিউ পদ্ধতিতে ‘ক’ গ্রুপের পরীক্ষা সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২.৩০ ঘটিকা পর্যন্ত আড়াই ঘণ্টাব্যাপী এবং ‘খ’ গ্রুপের (মুক্তহস্ত অঙ্কন) পরীক্ষা দ্বিতীয় পর্বে দুপুর ১২.৪৫ থেকে ১.৪৫ পর্যস্ত এক ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়। ‘ক’ গ্রুপের সাধারণ প্রকৌশল বিভাগের ভর্তি পরীক্ষা ১০০টি প্রশ্নে মোট ৫০০ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। আর ‘খ’ গ্রুপের স্থাপত্য বিভাগের জন্য মুক্তহস্ত অঙ্কনে (ব্যবহারিক) অতিরিক্ত ২০০ নম্বরসহ মোট ৭০০ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া কুয়েট কেন্দ্রে ‘ক’ গ্রুপে ৬ হাজার ৯৬৩ জন এবং ‘খ’ গ্রুপে ৯৮৪ জন মোট ৭ হাজার ৯৪৭ জন পরীক্ষার্থী এবং রুয়েট কেন্দ্রে ‘ক’ গ্রুপে ৮ হাজার ১৯২ জন এবং ‘খ’ গ্রুপে ১ হাজার ৮ জন মোট ৯ হাজার ২০০ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করছেন। কুয়েট ক্যাম্পাসে ‘ক’ গ্রুপের ৬০০০১-৬৬৯৬৩ ও ‘খ’ গ্রুপের ৬৮৫০১-৬৯৪৮৪ এবং রুয়েট ক্যাম্পাসে ‘ক’ গ্রুপের ৭০০০১-৭৮১৯২ ও ‘খ’ গ্রুপের ৭৮৫০১-৭৯৫০৮ রোলধারী শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেন। অপরদিকে চুয়েট ক্যাম্পাসে ভর্তি পরিক্ষায় অংশ নিতে আসা শিক্ষার্থী ও অভিবাবকরা পরিবহন সংকটে পড়েছে। পরীক্ষা শেষে চট্টগ্রাম কাপ্তাই সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হলে শিক্ষার্থীরা নিজ গন্তব্যে ফিরতে অনেক সময় লেগে যায়। দুপুর ১টার দিকে পরিক্ষা শেষ হলেও বিকাল ৪টা পষর্ন্ত গাড়ীর জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায়। এছাড়া কাপ্তাই সড়কের পাহাড়তলী চৌমুহনী হতে রাঙ্গুনিয়ার জিয়া নগর পষর্ন্ত যানযট নিরসনে পুলিশকে হিমশিম খেতে হয়। ঐ সড়কে চলাচলকারীও ভোগান্তির শিকার হয়।
Leave a Reply