শাহাদাত হোসেন, রাউজান (চট্টগ্রাম)
ভোরের আলো ফুটেছে নানা রংবেরঙের ফুল। সূর্যের কিরণ এসে পড়ছে বাগানের প্রতিটি গাছের পাতায়। রংবেরঙের বিভিন্ন প্রজাতির গাছের প্রতিটি পাতায় জমে থাকা শিশির বিন্দু সূর্যের আলোয় যেন মুক্তার মতো ঝলমল করে উঠেছে। সারারাত শীতের শিশির সিক্ত হয়ে ভোরের আলো পেতেই মেলে ধরেছে তাদের সৌন্দর্য। এমন সৌন্দর্যময় সাজানো- গোছানো রং-বেরঙের ফুলের বাগান চোখে পড়ে গহিরা এ জে ওয়াই এম এস বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় । এই স্কুলের প্রবেশ মুখে হাতের বাবে চোখে পড়বে নানা রঙের সাজানো ফুলের বাগান।এই ফুলবাগান বিদ্যালয়ের প্রায় চার শতাংশ জায়গাজুড়ে গড়ে তোলা হয়েছে। রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির ফুল।তারই মধ্যে রয়েছে- দুই প্রজাতির গাদা,গোলাপ,ডালিয়া,সূর্যমুখী,হাসি গান্ধা,ডোরেন্ডা, চায়না রঙন, সবুজ চায়না কড়িফুল, হলুদ চায়না কড়িফুল, লাইলি-মজনু, জবা, সিলভিয়া, ডেন্থারসহ ইত্যাদি।তার পাশাপাশি রয়েছে ছোট ছোট ফুলের টব ও বিভিন্ন জাতের আম গাছ।ফুল বাগানের পাশে রয়েছে পুকুর।এই সৌন্দর্যময় বিদ্যালয়টি চট্টগ্রাম-রাঙামাটি মহাসড়কের গহিরা এলাকায়। প্রতিদিন এই ফুল বাগানে দেখা মিলে প্রেমীদেরও। বিকালের ফাঁকে ফুল এসে সময় কাটান ফুল প্রেমীরা।তাদের হাতে স্মার্টফোনে তুলছে ছবি ও সেলফি।দর্শনার্থীরা জানান,এমন সৌন্দর্যময় ফুলের বাগান দেখেই মুগ্ধ তারা। ফুলকে ভালোবাসা না পৃথিবীতে এমন মানুষ নেই। ফুল পবিত্র জিনিস। ফুলের সৌন্দর্য সবাই গ্রহণ করতে চাই। তাই বিকাল এর ফাঁকে ফুল বাগানে সময় কাটাতে তারা। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হাবিবুল হক বলেন,বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ডাঃ দীপক সরকার তার ব্যক্তিগত উদ্যোগে কয়েকবছর আগে এ ফুলের বাগান গড়ে তোলেন।সেখানে বিভিন্ন প্রজাতির ফুলের চারা লাগানো হয়।যা বিদ্যালয়ের সৌন্দর্য অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে।সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য প্রতিদিন আসছে দর্শনার্থী।তারা যাতে ফুল না ছিঁড়ে সে জন্য সাইনবোর্ড দিয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।ফুলবাগানের পরিচর্যা করা জন্য রাখা হয়েছে কর্মী।বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কঠোর নির্দেশনা রয়েছে শিক্ষার্থীরাও যাতে ফুল না ছিঁড়ে।
Leave a Reply