সারা দেশে নানা আয়োজনে ঈদে মিলাদুন্নবী পালিত হচ্ছে। দিনটি উপলক্ষে চট্টগ্রামে অর্ধশত বছর ধরে আয়োজিত ‘জশনে জুলুসে’ হযরত মোহাম্মদ (স:) এর জন্ম এবং ওফাত দিবস পালন করেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা। যা এখন চট্টগ্রামের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে।
র্যালির আয়োজন করে মুরাদপুর আলমগীর খানকাহ্-এ-কাদেরিয়া সৈয়্যদিয়া তৈয়্যবিয়া। শোভাযাত্রাটি নগরীর বিভিন্ন স্থান প্রদক্ষিণ করে মুরাদপুর হয়ে জামেয়া প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। এ জুলুসে হাজারো মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতীক সম্বলিত ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে র্যালিতে অংশ নেন মুসলমান ধর্মাবলম্বীরা। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত ছিল নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
মাহফিলে বক্তারা বলেন, আল্লাহর রহমত হিসেবে ১২ রবিউল আউয়াল পৃথিবীতে আবির্ভূত হন আমানের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)। তিনি সমগ্র বিশ্ববাসীর জন্য সর্বোত্তম আদর্শের শিক্ষাদাতা হিসেবে আবির্ভূত হয়ে তার সুন্দরতম আদর্শের মাধ্যমে পৃথিবীতে শান্তি-সৌহার্দ্য, সাম্য-মানবতা প্রতিষ্ঠা করেন।
নগরীর প্রধান সড়কগুলো তোরণ, ব্যানার, ফেস্টুন, বর্ণিল বাতি দিয়ে সাজানো হয়েছে। ধর্মীয় এ শোভাযাত্রায় অংশ নেন নানা শ্রেনী পেশার ধর্ম প্রাণ মুসল্লিরা।
১৯৭৪ সাল থেকে এ জুলুসের আয়োজন করে আসছে আনজুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট।
Leave a Reply