রাউজান পৌরসভার মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ বলেছেন, বিএনপি জামাত শাসন আমলে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর জুলুম নির্যাতন ও মঠ মন্দিরে হামলা করে সংখ্যালঘুদের দেশ ত্যাগে বাধ্য করা হয়েছিল। তাদের স্বপ্ন ছিল দেশকে জঙ্গি রাস্ট্রে পরিনত করা। কিন্তু শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ রাস্ট্রিয় ক্ষমতায় এসে সকল সম্প্রদায়ের জন্য সম অধিকার প্রতিষ্ঠিত করেছে। জামাত বিএনপি’র সাম্প্রদায়িক শক্তিটি আবারো সাম্প্রায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে পূজা মন্ডপে হামলার নীল নকশা হাতে নিয়েছে। তাই সকলকে সর্তক থাকতে হবে। রাউজানে সাম্প্রদায়িক শক্তির কোন স্থান নেই। রাউজানের অভিবাবক এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর নেতৃত্বে সকল সম্প্রদায় ঐক্যবন্ধ রয়েছে। কেউ শৃঙ্খলা ভঙ্গের চেষ্টা করলে পূজা কমিটিকে সাথে নিয়ে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ দাঁত ভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে। তিনি বলেন, রাউজান পৌর এলাকার ৫৪টি পূজা মন্ডপে রাতে পাহাড়া দিতে পৌরসভা অর্থে অস্থায়ী লোকবল নিয়োজিত থাকবে। তিনি গতকাল ২৮ সেপ্টেম্বর বুধবার রাউজান উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ ও পৌর এলাকার ৫৪টি পূজা মন্ডপের সভাপতি সম্পাদকদের সাথে আসন্ন শারদীয় দুর্গা পূজার প্রস্তুতি মূলক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান প্রিয়তোষ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও পৌরসভার সচিব অনিল চন্দ্র ত্রিপুরার সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল হারুন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ইরফান আহম্মদ চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্যানেল মেয়র আলহাজ্ব বশির উদ্দিন খান, প্রধান বক্তা ছিলেন রাউজান উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুমন দে, বক্তব্য রাখেন পৌরসভার কাউন্সিলর জসিম উদ্দিন চৌধুরী, কাউন্সিলর আজাদ হোসেন, কাউন্সিলর শওকত হাসান, মহিলা কাউন্সিলর জান্নাতুল ফেরদৌস ডলি, জেবুর নেছা, টিপু কান্তি দে, সাংবাদিক প্রদীপ শীল, পূজা কমিটির নেতা তপন দে, পৌর পূজা কমিটির সভাপতি সাজু পালিত সাধারণ সম্পাদক উজ্জল কান্তি দাশ, দিপলু দে দিপু, সবুজ দে ভানু, জিকু দত্ত, কৃষ্ণ ধর প্রমুখ।
Leave a Reply