আত্মশুদ্ধির মহা নিয়ামত নিয়ে বছর ঘুরে আবার এলো মাহে রমজান। উত্তম আমল, আল্লাহভীতি এবং পবিত্রতা অর্জনের জন্য মাহে রমজান ফিরে আসে। মহান আল্লাহ মানুষকে হায়াত দান করেছেন এই কারণে তিনি দেখবেন কারা কারা সর্বোত্তম আমল করেছে। আখেরাতের সফরের পূর্বে মানুষকে পরকালের জন্য আমল সংগ্রহ করে নিতে হয়। আমল, আখলাক উন্নত করার জন্য এবং পবিত্রতা অর্জনের জন্য খলিফায়ে রাসূল হযরত গাউছুল আজম (রা.) এর তরিক্বত অনবদ্য ভূমিকা পালন করছে। ফরজ এবাদতের পাশাপাশি এই মহান তরিক্বতে রয়েছে দৈনিক এগারোশত এগারো বার দরূদ শরীফ, মোরাকাবা, ফয়েজে কুরআন, জিকিরে জলী ও খফি সহ আরো অসংখ্য নিয়ামত। এছাড়াও রয়েছে তাওয়াজ্জুহ এর মাধ্যমে প্রিয় রাসূল (দ.) এর নূরে বাতেন প্রদান যা একজন সাধারণ মানুষকে ইনসানে কামেলে পরিণত করে, সুবহানআল্লাহ।গত ৬ মার্চ বৃহস্পতিবার বেলা ৩ টা হতে মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগর সমন্বয় পরিষদের ব্যবস্থাপনায় নগরীর বায়েজিদস্থ কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফ কমপ্লেক্সে দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা খলিলুল্লাহ, আওলাদে মোস্তফা, খলিফায়ে রাসূল (দ.) হযরত শায়খ ছৈয়্যদ গাউছুল আজম রাদ্বিয়াল্লাহু আন্হুর ঈছালে ছাওয়াব উপলক্ষ্যে ও এ দরবারের মহীয়সী রমণী জামানার রাবেয়া বসরী, ফাতেমায়ে ছানী আলহাজ্বা রূহানী আম্মাজান (রাহ.) এর ‘সালানা ওফাত শরীফ’ স্মরণে ইফতার মাহফিলে মাননীয় মোর্শেদে আজম মাদ্দাজিল্লুহুল আলী ছাহেব এসব কথা বলেন।চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য এবং মুনিরীয়া যুব তবলিগ কমিটি বাংলাদেশ এর মহাসচিব প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আবুল মনছুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ইফতার মাহফিলে বক্তব্য রাখেন মুফতি মাওলানা কাজী মুহাম্মদ আনোয়ারুল আলম ছিদ্দিকী ও মাওলানা মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন ।মিলাদ—কিয়াম শেষে মাননীয় মোর্শেদে আজম মাদ্দাজিল্লুহুল আলী দেশ, জাতি ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি—সমৃদ্ধি এবং কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা হযরত শায়খ ছৈয়্যদ গাউছুল আজম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর ফুয়ুজাত কামনা করে বিশেষ মুনাজাত পরিচালনা করেন।
Leave a Reply