চট্টগ্রামের রাউজানের চিকদাইর ইউনিয়নের দুটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের কাজ শেষ না করায় জনগণের দুর্ভোগ চরমে। জানা যায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হযরত আকবর শাহ সড়ক সেকশন-১ ও ২ নামের এই দুটি সড়কের উন্নয়নে প্রকল্প হাতে নেয়।এলজিইডির তত্ত্বাবধানে তিন কোটি ১৮ লাখ টাকা ব্যয় বরাদ্দে রাউজানের দুইটি সড়ক উন্নয়ন কাজ শুরু হয়েছে ২৩ সালে ১৩ সেপ্টেম্বর। এখনো সড়ক নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি।কাজ ফেলেই দুই ঠিকাদার লাপাত্তা।সরকার পতনের তাঁরা সড়ক নির্মাণের কাজ ফেলে গা-ঢাকা দেন ঠিকাদার রাজিব চৌধুরী রাজু ও কাজী মাসুদ রানা। এই সড়ক নির্মাণের জন্য যে ইট ব্যবহার করা হয়েছে তা অত্যন্ত নিম্নমানের বলে এলাকার লোকজন অভিযোগ করেন। চিকদাইর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মোদাচ্ছের হায়দার বলেন, সরকার পতনের পর দুইটি ঠিকাদার সড়ক নির্মাণের কাজ ফেলেই গা-ঢাকা দিয়েছে।এতে সড়ক নির্মাণ কাজ বন্ধ।কাজের মান ঠিক রেখে দ্রুত সড়কটির নির্মাণ করার দাবি তার। স্থানীয় বাসিন্দা তুষার নামের এক যুবক বলেন, ঠিকাদার এক নাম্বার ইটের বদলে নিম্নমানের ইট এনে কাজ করছে।আমাদের রাস্তার কাজ আমরাই বুঝে নেব। এখানে কোনো দুই নাম্বার কাজ করতে দিব না। বর্তমানে সড়কের কাজ বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকার বাসিন্দাদের।আকবর শাহ্ সেকশন সড়ক-২ ঠিকাদার কাজী মাসুদ রানা জানান, সাময়িক পরিস্থিতির কারণে রাস্তার কাজ বন্ধ রয়েছে।এক সপ্তাহের মধ্যে রাস্তার কাজ শুরু করবো। তবে সড়ক নির্মাণে কোনো অনিয়ম হচ্ছে বলে তিনি জানান। আকবর শাহ্ সেকশন সড়ক-১ ঠিকাদার রাজিব চৌধুরী রাজু জানান, দুই সপ্তাহের মধ্যে আকবর শাহ্ সড়ক নির্মাণের অসম্পূর্ণ কাজ সম্পন্ন করা হবে।নিম্নমানের ইট সামগ্রী বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সড়ক নির্মাণে কোনো নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়নি।এলাকাবাসীর অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেন তিনি। এবিষয়ে জানতে রাউজান উপজেলা প্রকৌশলী আবুল কালাম বলেন, ঠিকাদার রাজিব চৌধুরী ও মাসুদ রানা এলাকায় ছিলনা । দুই ঠিকদারের সাথে কথা বলেছি তাঁরা শীঘ্রই সড়কের নির্মাণ কাজ শুরু করবে। সড়কের নির্মাণ কাজে কোন অনিয়ম হলে তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply