রাউজানের ছত্র পাড়ায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জোরপুর্বক সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করার অভিযোগ করেছেন রাউজান পৌরসভার কর্মচারী শফি। অভিযোগ করে বলেন, রাউজান পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের মৌলভী আলী আহম্মদের বাড়ীর তার পৈতৃক বসত ভিটা নিয়ে প্রতিবেশী সোলায়মান ওসমানের সাথে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এ বিরোধ নিয়ে তার ভাই বোনরা মিলে বাদী হয়ে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন চট্টগ্রাম ৩য় যুগ্ম জেলা জজ আদালতে। এরপর বিরোধ নিরসনে স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর আজাদ হোসেন সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিরা সালিসি বৈঠকে বসে। বৈঠকের সিদ্¦ান্ত মেনে নেয়নি সোলায়মান। একই সাথে আদালতে দায়ের করা মামলা চলমান রয়েছে। এ অবস্থায় সোলায়মানের পুত্র শোয়াইব মামুন মধ্যপ্রাচ্য থেকে দেশে এসে রাউজান পৌরসভায় গত ১৩ ডিসেম্বর হাফেজ শফির বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। গত ১৯ ডিসেম্বর রাউজান পৌরসভায় জমির দলিলপত্র ও স্বাক্ষীদের নিয়ে রাউজান পৌরসভায় উপস্থিত হওয়ার জন্য নেটিশ দেয় পৌর কর্তৃপক্ষ। নির্ধারিত ঐ তারিখে উপস্থিত হতে পারবেনা বলে সময়ের জন্য আবেদন করেন পৌর কর্মচারী শফি। এরপর শোয়াইব মামুন বসতভিটায় সীমানা প্রাচীর নির্মান কাজ শুরু করেন। এ ব্যাপারে গত ১০ জানুয়ারী শফি বাদী হয়ে রাউজান থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ উপস্থিত হয়ে সীমনা প্রাচীর নির্মাণ কাজে বন্ধ করে দেয়। শফি তার অভিযোগে বলেন, হাফেজ ছালে আহম্মদের পুত্র শোয়াইব মামুন ভাড়টিয়া লোকজন দিয়ে জোরপুর্বক সীমনা প্রাচীর নির্মান কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এ ব্যাপারে হাফেজ সেলায়মানের পুত্র শোয়াইব মামুনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাউজান পৌরসভার অভিযোগ করার পর পৌরসভারর অনুমতি নিয়ে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করছি। এ ব্যাপারে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আজাদ হোসেন বলেন, রাউজান পৌরসভার মামলার রায় নিয়ে শোয়াইব মামুন সীমানা প্রাচীর নির্মান করছেন। মামলার রায়ের কপি মেয়র ও সালিসী নিস্পত্তি বোর্ডের চেয়ারম্যান ঢাকায় থাকায় রায়ের কপি শফি কে দেওয়া সম্ভব হয়নি ।
Leave a Reply