৫ আগষ্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাউজানে জায়গা জমির বিরোধ বৃদ্ধি পেয়েছে। ঢিলেঢালা প্রশাসনের দায়িত্ব পালনের সুযোগে দখল বেদখল অভিযোগ পাওয়া গেছে। তেমনি রাউজানে বাবার বিক্রি করা বসতভিটের ঘরে ভাড়াটিয়া হিসেবে থাকার পর দখল দারিত্ব ছাড়ছে না ছেলে। নিজেদের কষ্টার্জিত অর্থ দিয়ে কেনা জায়গা থেকে আগে ভাড়া পেলেও গত তিনমাস ধরে ভাড়া প্রদান বন্ধ করে দেওয়ায় হতাশ দুই ক্রেতা। ঘটনাটি রাউজান উপজেলার কদলপুর ইউনিয়নের কদলপুর গ্রামের সুভাষ মেম্বারের বাড়ীতে। ভুক্তভোগী পূর্বগুজরা ইউনিয়নের আধার মানিক গ্রামের অজিত কুমার চৌধুরীর ছেলে স্বরুপানন্দ চৌধুরী এবং কদলপুর গ্রামের মানচি পাড়ার প্রয়াত হাজী বশির আহমদের ছেলে মোহাম্মদ হাসেম আজাদ। জানা যায়, গত ২০১০ সালে তৎকালীন মৌজা মূল্যে ২৭ লাখ ২৫ হাজার টাকায় পাকা বসতঘরসহ ৩৬ শতাংশ জায়গা বিক্রয় করেন কদলপুর ইউনিয়নের মৃত সতীশ চন্দ্র ভট্টচার্য্যের ছেলে মৃদুল কান্তি ভট্টচার্য্য। ক্রেতা স্বরুপানন্দ চৌধুরী ও মোহাম্মদ হাসেম আজাদ বলেন, আমরা দুইজন রেজিস্টারি বিক্রয় কবলামূলে ক্রয় করে নামজারি সৃজন করে বিক্রেতার ছেলে কনক ভট্টাচার্য্য ও ঝিনুক ভট্টচার্য্য নামে দুই ভাইকে মাসিক ভাড়া চুক্তিতে থাকার সুযোগ দিয়েছিলাম। বছরের পর বছর ভাড়া প্রদান করে বসবাস করলেও গত তিনমাস আগে হঠাৎ ভাড়া প্রদান বন্ধ করে দেয়। এরপর থেকে দখল দারিত্ব ছাড়বে না মর্মে জানিয়ে বিভিন্ন প্রকার হুমকি ধমকি দিতে থাকেন। মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোসহ বিভিন্ন প্রকার হুমকি-ধমকি প্রদান করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তাদের। অভিযুক্ত ঝিনুক ভট্টচার্য্যকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমার পিতা জায়গাটি বিক্রি করেছে জেনে আমরা অতভম্ভ হয়েছি। যদি বিক্রি সঠিক হয় আমরা এখন কোথায় যাবো। জায়গার উপর পাকা বাড়ি করেছি। আমার চাওয়া তাদের সাথে সামাজিক ভাবে বসে একটি সমঝোতা হোক। তিনি বলেন, আমরা ভাড়াটিয়া হিসাবে বসতি করছি কথাটি সঠিক নয়। আমি আমার পৈত্রিক ভিটায় ঘর করে বসবাস করছি। প্রয়োজনে আমি কিছু ক্ষতিপূরণ দিয়ে পৈত্রিক ভিটা রক্ষা করতে চাই।ঝিনুক ভট্টচার্য্যরে ছোট ভাই কনক ভট্টাচার্য্য বলেন, অল্প টাকায় আমার বাবা থেকে জায়গাটি ক্রয় করেন স্বরুপানন্দ ও হাসেম আজাদ। তারা দুইজন আমাদের নানা ভাবে হুমকীতে রেখেছে। তারপরও আমরা একটি সুষ্টু সমাধান চাই। বসতবাড়ি রক্ষ করতে কিছু টাকা দিয়ে হলেও সমাধানে পৌঁছাতে চাই।
Leave a Reply