বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক এমপি আলহাজ্ব গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরী বলেছেন, ১৯৭৪ সাল থেকে আমার রাজনীতির শুরু হয়েছিল।শহীদ জিয়ার আদর্শে আমি বিএনপি সাথে সম্পৃক্ত হই।এখনও এ আদর্শ আমি আছি। শহীদ জিয়াউর রহমান সংবিধানে প্রথম বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম সংযুক্ত করেন। তিনি বলেন, গত ১৭ বছর আওয়ামী সন্ত্রাসী কারণে নির্যাতন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন আমার দলীয় নেতাকর্মীরা। এলাকার মানুষের সাথে আমার যুগ যুগ ধরে সম্পর্ক। এ সম্পর্ক কোনদিন শেষ হবে না। তিনি সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে বলেন, সেনাবাহিনী আওয়ামী লীগকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। তাদের কেন ধরা হলো না। জিজ্ঞেস করলে তাঁরা বলেন সবাই পালিয়ে গেছে। ৫ আগষ্ট শত শত আওয়ামী লীগ নেতাকে আশ্রয় দিয়েছে। পরে বলে তাঁরা পালিয়ে গেছে আওয়ামী লীগ। এ হচ্ছে সেনাবাহিনীর অবস্থা। তিনি ছাত্র প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে বলেন, ৫ আগষ্টের আগে কোথায় ছিল তারা। এখন উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরে বসে সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করতে চাই। তিনি গতকাল ১ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বিকালে জানালী হাটস্থ একটি কমিউনিটি সেন্টারে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা নুরুল হুদার সভাপতিত্বে ও বিএনপি নেতা ফিরোজ আহম্মদ ও উত্তর জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি রাসেল খানের যৌথ সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা ছিলেন সাবেক জেলা বিএনপির সদস্য আবু জাফর চৌধুরী, বিশেষ অতিথি ছিলেন সৈয়দ মঞ্জরুল হক মঞ্জু, জেলা যুবদলের সহ সভাপতি সাবের সুলতান কাজল, সাবেক ইউপি দিদারুল আলম, চেয়ারম্যান ফয়জুল ইসলাম চৌধুরী টিপু, বিএনপি নেতা মুসলেম উদ্দিন, হাজী জসিম, হাফেজ মোহাম্মদ হাসেম, আনিসুল ইসলাম সোহেল,পৌরসভা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক শাহাজান শাকিল,ছাত্রদলের সাবেক নেতা লিটন মহাজন, সেচ্ছাসেবক দল নেতা ইউসুফ তালুকদার, সৈয়দ তৌহিদুল ইসলাম,মোহাম্মদ আলী সুমন, নিজাম উদ্দিন সুজন, মোহাম্মদ আলী মুন্না, এডভোকেট মফিজ উদ্দিন, মোহাম্মদ রেওয়াজ, ছাত্রদল নেতা আরিফুল ইসলাম প্রমুখ। আলোচনা সভা শুরুর আগে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিরা জাতীয় ও দলীয় পতকা উত্তোলন করেন। পরে বেলুন ও শান্তি পায়রা উড়িয়ে দলের ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর উদ্বোধন করেন আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী।
Leave a Reply