রাউজানের গ্রামীণ সড়ক ও মহাসড়কে অবাধে চলাচল বেড়েছে ব্যাটারি চালিত রিক্সা,অটোরিকশা, ইজিবাইক, নসিমন।এতে নিত্য যানজটের কবলে পড়ে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে পথচারী,স্কুল শিক্ষার্থী ও স্থানীয় মানুষদের। ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।এসব গাড়ির রেজিষ্টেশন, কাগজপত্র ও কোনো অনুমোদন নেই।গ্রামীণ সড়ক ও মহাসড়কে ব্যাটারি চালিত এসব গাড়ি চলাচলের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা মানছে না চালকরা।সরেজমিনে দেখা যায়,সড়ক আইন অমান্য করে চট্টগ্রাম রাঙ্গামাটি মহাসড়ক,চট্টগ্রাম কাপ্তাই,হাফেজ বজলুল রহমান সড়ক,শহীদ জাফর সড়ক,দোস্ত মোহাম্মদ চৌধুরী সড়ক ও গহিরা-ফটিকছড়ি সড়ক,উপজেলার ব্যস্ততম সড়ক ফকির হাট,থানা রোডসহ রাউজানের বিভিন্ন গ্রামীণ সড়ক পথে বেপরোয়াভাবে অটোরিকশাগুলা চলছে। এসব গাড়ি চলছে উল্টো পথেও।বিপদে পড়ছে দ্রুতগতির যানবাহনগুলো।ফলে প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা,বাড়ছে যানজট। দুর্ঘটনায় কেউ প্রাণ হারাচ্ছে,কেউ আহত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করছে। অন্যদিকে ব্যাটারি চালিত গাড়িগুলো গিলে খাচ্ছে বিদ্যুৎ।এসব ব্যাটারি চালিত গাড়িগুলোতে বিদ্যুৎ এর অবৈধ লাইন নিয়ে চার্জ দেয়া হয়।ফলে বিদ্যুতের অপচয় হচ্ছে অনেক,বেড়েছে লোডশেডিং।রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।চট্টগ্রাম রাঙামাটি বেবিট্যাক্সি চালক সমিতির সভাপতি রফিকুল ইসলাম বলেন,রাউজানে ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা চালকদের নেই কোন প্রশিক্ষণ বা লাইসেন্স।অতিদ্রুত অবৈধ ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা ও অদক্ষ চালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মোহাম্মদ আলী সুমন বলেন,ব্যাটারি চালিত অটোরিকশার কারণে ফকির হাট,মুন্সির ঘাটা,জলিল নগর বাস স্টেশন,তীব্র যানজটসহ সড়কে শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হচ্ছে।ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে,প্রায়ই সময় ঘটছে অনাকাঙ্ক্ষিত সড়ক দুর্ঘটনা। তাই প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি,অনতিবিলম্বে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশাগুলা বন্ধ করা হোক।রাউজান পৌর প্রশাসক ও উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূমি অংছিং মারমা জানান, ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চলাচলের বিষয়টি নিয়ে শীঘ্রই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply