সর্তার খালের ভাঙ্গনে রাউজানের হচ্চার ঘাট, উত্তর সর্তা এলাকায় বিলিন হচ্ছে ফসলী জমি ও বসতভিটা। সরোজমিন পরিদর্শন কালে দেখা যায় সর্তা খালের রাউজান অংশে বালু উত্তোলন বন্ধ থাকলেও সর্তার ফটিকছড়ি অংশে বালু খেকেরা পাওয়ার পাম্প বসিয়ে উত্তোলন করছেন বালু। অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের ফলে খালের ভাঙ্গন বৃদ্ধি পেয়েছেন। জানা যায়, সর্তার খালের রাউজান অংশে অভেধ ভাবে বালু উত্তোলন করে ট্্রাক ও জীব যোগে হলদিয়া ভিলেজ রোড দিয়ে পরিবহন করায় সড়কটি ক্ষতির সম্মূখিন হয়। রাউজানের সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী নির্দেশনায় রাউজান উপজেলা প্রশাসন রাউজান অংশে সর্তার খাল থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেন। কিন্তু ফটিকছড়ি অংশে বালু উত্তোলন অব্যহত থাকায় বসত বাড়ীসহ ফসলী জমি সর্তার গর্বে বিলিন হয়ে যাচ্ছে। হচ্চার ঘাট এলাকার আশে পাশের ফটিকছড়ি অংশের প্রায় বিশটি বালু মহাল রয়েছে। তারা সর্তার খালের মধ্যে জেগে উঠা চরের পাশে পাওয়ার পাম্প বসিয়ে বালু উত্তোলন করে ডেলিভারী পাইপের মাধ্যমে ফটিকছড়ি উপজেলার আধাঁর মানিক এলাকায় খালের তীরে বালুর স্তুপ করছে। সেখান থেকে তারা বিভিন্ন স্থানে পাচার করছে বালু। ফটিকছড়ি এলাকার বালু খেকো নামে কামাল এব বালু উত্তোলন ও পাচারের মূলহোতা। স্থানীয়রা জানান, রাউজান উপজেলা প্রশাসন ও ফটিকছড়ি উপজেলা প্রশাসন কয়েক দফা অভিযান চালিয়ে বালু উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত পাওয়ার পাম্প ও পাইপ জব্দ করে নিয়ে আসে। একটি অভিযান চলাকালে তৎকালীন রাউজান উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি অতিশ দর্শী চাকমার উপর হামলা চালায় বালু খেকো কামাল ও তর সহযোগীরা। এই ঘটনার ব্যাপারে দায়ের করা মামলায় বালু খেকো কামালকে পুলিশ গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরন করেন। জেল থেকে জমিনে মুক্তি পেয়ে বালু খোকো কামাল আবারো সর্তা খাল থেকে পাওয়ার পাম্প বসিয়ে বালু উত্তোলন করছে অবাধে। এছাড়া ও রাউজানের হলদিয়া ইউনিয়নের হচ্চার ঘাট এলাকার পুর্ব পাশে ক্ষিরাম এলাকায় সর্তা খালে পাওয়ার পাম্প বসিয়ে বালু উত্তোলন করছেন বাইট্টা নাসির ও তার সহযোগীরা। এ ব্যাপারে হলদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্বা শফিকুল ইসলাম বলেন, সর্তার খালের হলদিয়া এলাকার যারা বালু উত্তোলন করতো তারা এখন সর্তা খাল থেকে বালু উত্তোলন করেনা। ফটিকছড়ি এলাকার কয়েকজন রাউজান অংশে এসে ও ফটিকছড়ি সীমনায় পাওয়ার পাম্প বসিয়ে বালু উত্তোলন করছে।
Leave a Reply