রাজনীতিবিদ—এই শব্দটি আজকের দিনে শুনলেই অনেকের মনে জন্ম নেয় সংশয় ও অনিশ্চয়তা। অথচ এক সময় রাজনীতি ছিল মানুষের আশা, স্বপ্ন এবং সমাজের উন্নয়নের মূল হাতিয়ার। স্বাধীনতা আন্দোলন, রাষ্ট্র গঠন, গণতান্ত্রিক অর্জন—সবই সম্ভব হয়েছে রাজনীতির মাধ্যমে।কিন্তু আজকের বাস্তবতা ভিন্ন। দুর্নীতি, স্বার্থপর ক্ষমতার দাপট, টাকার প্রভাব এবং পেশীবাজি যেন রাজনীতিকে ঘিরে ফেলেছে। নৈতিকতা ও আদর্শের স্থান আজ অনেকাংশে ক্ষীণ। এর ফলে তরুণ প্রজন্ম রাজনীতির প্রতি অনাস্থা বোধ করছে। তারা ভাবছে, রাজনীতি আর জনসেবার হাতিয়ার নয়, বরং ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের মাধ্যম।এ ধরনের পরিস্থিতি শুধু রাজনীতিকে নয়, সমাজ ও দেশের অগ্রগতিকেও হুমকির মুখে ফেলে। কারণ যখন রাজনীতি জনগণের সেবার বদলে স্বার্থের ময়দান হয়ে দাঁড়ায়, তখন গণতন্ত্র দুর্বল হয়, সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয় এবং সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।এই সংকটের মাঝেই পরিচ্ছন্ন রাজনীতি এক আলোর দিশারী হিসেবে দাঁড়ায়। পরিচ্ছন্ন, ন্যায়নিষ্ঠ এবং আদর্শভিত্তিক রাজনীতি সমাজ ও দেশের জন্য অপরিহার্য। একজন প্রকৃত রাজনীতিবিদ কখনো কেবল ক্ষমতার লোভে রাজনীতি করেন না; তিনি রাজনীতি করেন মানুষের জন্য, দেশের জন্য। পরিচ্ছন্ন রাজনীতি মানে শুধু দুর্নীতিমুক্ত থাকা নয়; এটি হলো জনগণের সেবা, নৈতিক দায়িত্ববোধ, আদর্শের প্রতি অঙ্গীকার এবং মানুষের কল্যাণকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া।এই ধারা ও আদর্শের প্রতিফলন আমরা দেখতে পাই গোলাম আকবর খোন্দকার-এর জীবনে। চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, সাবেক রাষ্ট্রদূত, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এবং চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হিসেবে তিনি প্রমাণ করেছেন, রাজনীতি এখনও হতে পারে পরিচ্ছন্ন, আদর্শভিত্তিক এবং জনগণমুখী।
গোলাম আকবর খোন্দকার কেবল একজন রাজনীতিবিদ নন; তিনি কূটনীতিক এবং সমাজসেবক। তাকে বলা যায় “রাজনীতিবিদদের এমিরেটর প্রফেসর”। কারণ তার নেতৃত্বে সততা, নীতি, শিক্ষা এবং অভিজ্ঞতার এক অনন্য সমন্বয় দেখা যায়।তার রাজনৈতিক যাত্রা শুরু হয়েছিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাজনীতি থেকে। এরপর রাউজানের প্রত্যন্ত জনপদ জগদল থেকে উঠে আসেন রাষ্ট্রদূত, সংসদ সদস্য এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সুপরিচিত নেতা হিসেবে। প্রতিটি পদে তিনি নিজের পরিচয় রেখেছেন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ এবং জনগণের বন্ধু হিসেবে।গোলাম আকবর খোন্দকারের রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু সবসময় রাউজান। তিনি বিশ্বাস করেন, রাজনীতি মানেই মানুষের ভালোবাসা অর্জনের সংগ্রাম। কৃষক, শ্রমিক, শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ—সবাই তার কাছে নিজের আপনজন। তার লক্ষ্য কেবল ক্ষমতায় থাকা নয়; বরং একটি শান্তিপূর্ণ, শিক্ষিত, মর্যাদাবান এবং উন্নত রাউজান গড়ে তোলা।তার স্বপ্ন একটি পরিচ্ছন্ন রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করা,যেখানে জনগণ নেতাদের দেখে আস্থা রাখবে, তরুণরা রাজনীতিকে গ্রহণ করবে এবং রাজনীতি হবে উন্নয়ন, অগ্রগতি এবং মানুষের কল্যাণের প্রতীক। এই উদ্দেশ্যে তিনি প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন।আজকের দুর্বৃত্তায়িত রাজনীতির ভিড়ে গোলাম আকবর খোন্দকার এক অনন্য ব্যতিক্রম। তিনি প্রমাণ করেছেন,সততা,আদর্শ এবং মানুষের ভালোবাসা দিয়েই একজন নেতা হয়ে ওঠা সম্ভব। তার জীবন ও কর্মযাত্রা তরুণ প্রজন্মের জন্য এক উজ্জ্বল পাঠশালা, যা রাজনীতির শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করে।সত্যিই, গোলাম আকবর খোন্দকারকে বলা যায় রাজনীতিবিদদের এমিরেটর প্রফেসর এবং পরিচ্ছন্ন রাজনীতির এক অনন্য দৃষ্টান্ত। তার আদর্শ ও কর্মধারা প্রমাণ করে, রাজনীতি কেবল ক্ষমতার জন্য নয়, বরং মানুষের কল্যাণ এবং নৈতিকতার জন্যও করা যায়।লেখক- সাফায়েত হোসেন রাকিব সদস্য সচিব,রাউজান উপজেলা ছাত্রদল
Leave a Reply