চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আফরোজা কালাম বলেন, চট্টগ্রাম শহরে সড়ক নিরাপত্তায় পরিক্ষামুলক কোন প্রকল্প গ্রহণ না করে নিবিড় গবেষণার আলোকে বাস্তবসম্মত কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। সড়ক নিরাপত্তা নগরীর জন্য একটি অগ্রাধিকার বিষয়। সড়কের দুর্ঘটনা এড়াতে গাড়ীর গতি নিয়ন্ত্রনের পাশাপাশি সড়ক ব্যবহারকারী তথা পথচারি ও যানবাহন চালকদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি জরুরী। আমাদের শিশুরা আমাদের ভবিষ্যৎ তাদের জন্য আমরা একটি শিশুবান্ধব ও নিরাপদ শহর নিশ্চিত করতে কাজ শুরু করা উচিৎ। বিআইজিআরএস প্রকল্প উন্নত ও নিরাপদ চট্টগ্রাম গড়ার একটি বড় সুযোগ।
আজ রবিবার দুপুরে টাইগারপাসস্থ চসিকের সম্মেলন কক্ষে বøুমবার্গ ফিলানথ্রপিস ইনিশিয়েটিব ফর গ্লোবাল রোড সেফট্টি (বিআইজিআরএস) এর সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অথিতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
এসময় চসিক প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, অতিঃ প্রধান প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম, তত্তা¡বধায়ক প্রকৌশলী আবু ছালেহ, মুনিরুল হুদা, বিআইজিআরএস’র ইনিশিয়েটিব কো-অর্ডিনেটর মো. আবদুল ওয়াদুদ, কান্টি ম্যানেজার মো. নাছির উদ্দিন, প্রোগ্রাম এসোসিয়েট কাঞ্চনা গেনিস, প্রোগ্রাম অফিসার সুগান্থি শ্রাভানান, সিনিয়র টেকনিক্যাল এডভাইজার মিরিক পালা ও চসিক নির্বাহী প্রকৌশলী বৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
ভারপ্রাপ্ত মেয়র বলেন, ট্রাফিক আইন আছে, কিন্তু প্রয়োগের বিষয়টি যথাযথ হয় না বলে সড়ক দূর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি আরো বলেন, নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশ, সড়ক ও জনপদ, সিডিএ, বিআরটিএসহ সব সংস্থার সমন্বয় প্রয়োজন। সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করলে যে কোন কাজের সফলতা আসবেই। তিনি এ ব্যাপারে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে কাউন্সিলরদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন।
প্রতিনিধি দলের কো-অর্ডিনেটর মো. আবদুল ওয়াদুদ বলেন, চট্টগ্রামের ১৬টি স্থানের উপর পরিক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। এতে প্রতিয়মান হয়েছে যে, চালক ও পথচারিদের অসতর্কতা, ফিটনেস বিহীন যানবাহন অনুপোযুক্ত সড়ক সর্বোপরি গতি নিয়ন্ত্রণে অসাবধনতায় বেশির ভাগ দূর্ঘটনা সংঘটিত হয়।
Leave a Reply