চট্টগ্রামের রাউজানের হলদিয়া ইউনিয়নের হচ্ছারঘাট অংশে সর্তা খাল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে খালের ভাঙ্গন তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে উঠেছে। সর্তা খালের ভাঙ্গনে রাউজান অংশে ফসলী জমি বিলীন হয়ে যাচ্ছে।ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কয়েক’শ পরিবারের কৃষকরা।রাউজান অংশে ভাঙ্গে ফটিকছড়ি সীমনায় জেগে উঠছে বিশাল চর।এসব চর দখলে নিয়ে ফটিকছড়ি এলাকায় প্রভাবশালীরা অবৈধভাবে বালু উত্তোলণ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে রাউজান অংশেও একটি সিণ্ডিকেট অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন।প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা যায়, এই খাল থেকে বালু উঠানোর জন্য সরকারি ভাবে কোন মহলকে ইজারা দেওয়া হয়নি। তবে, খাল পাড়ের বাসিন্দাদের অভিযোগ, স্থানীয় প্রভাবশালীরা খালের ভিতর পাম্প মেশিন বসিয়ে বালু উঠিয়ে বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করছে। ফলে খালের ভাঙ্গনে প্রতিদিন বিলীন হচ্ছে শত শত একর ফসলি জমি আর বাড়ী ঘর।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,রাউজান-ফটিকছড়ি অংশে কোন প্রকার ইজারা ছাড়া সর্তা খালে পাওয়ার পাম্প বসিয়ে বালু উত্তোলন করছে বালু খেকোরা। যার ফলে প্রতিনিয়ত সর্তা খালের ভাঙ্গন বৃদ্ধি পেয়ে এলাকার মানুষের বসতঘর, ফসলী জমি খালে বিলিন হয়ে যাচ্ছে। তবুও বালু খেকোরা বালু উত্তোলন বন্ধ করেনি। বালু উত্তোলণের ফলে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব আয়। রাউজান উপজেলার ১নং হলদিয়া ইউনিয়নের হচ্ছার ঘাট ও ফটিকছগি খিরাম এলাকায় সর্তা খালের মধ্যে দু’পাড়ে বালু খেকোরা চারটি পাওয়ার পাম্প বসিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। স্থানীয় বিএনপি নেতা সোয়াইব উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, রাউজানে অংশে অবৈধভাবে বালু উত্তোলণের কারণে আমাদের ফসলি জমি ও বাড়ি ঘর ভাঙনের মুখে পড়েছে। ইতিমধ্যে হলদিয়া ইউনিয়নের হচ্ছার ঘাট এলাকায় ৫০ একরের বেশী ফসলী জমি খালে বিলিন হয়ে ফটিকছড়ি অংশে বিশাল চর জেগে উঠেছে। জেগে উঠা চর দখল করছে ফটিকছড়ি এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। বালু উত্তোলণ বন্ধ করা হলে ভাঙ রোধ করা সম্ভব হবে।সম্প্রতি রাউজান উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি রিদুয়ানুল ইসলাম সর্তা খাল থেকে বালু উত্তোলণ করা বালু জব্দ করে নিলামে বিক্রি করা হয়, এবং বালু উত্তোলণ বন্ধ করে দেওয়া হয়।উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি রিদুয়ানুল ইসলাম বলেন, রাউজানে কোনো বালু মহাল ইজারা দেয়া হয়নি।যদি কেউ ইজারা বিহীন অবৈধভাবে বালু উত্তোলণ করে অভিযান পরিচালনা করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply