দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে একের পর এক মা মাছের মৃত্যুসহ ডলফিন মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ১ জুলাই সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র চন্দ। তিনি বলেন, গত রবিবার (৩০ জুন) হাটহাজারী উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফারুক ময়েদুজ্জামানকে আহবায়ক করে রাউজান উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন, চট্টগ্রাম মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তা নাজমুল হুদা ও ফটিকছড়ি মৎস্য কর্মকর্তাকে সদস্য করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। হালদা নদীতে মা মাছ মারা যাওয়ার কারণ, সম্ভাব্য দূষণের উৎস সনাক্তকরণ এবং প্রতিকারে করণীয় সম্পর্কে আগামী ৭দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন চট্টগ্রাম জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বরাবর জমা দিতে বলা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সত্যিকার অর্থে কী কারণে মা মাছ মারা যাচ্ছে তা তদন্ত করে বের করার চেষ্টা করছি। যাতে ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা না ঘটে। এদিকে একের পর এক মা মাছের মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বিগ্ন ডিম সংগ্রহকারী ও হালদা গবেষকেরা। হালদায় এ পর্যন্ত ১০ থেকে সাড়ে ১৯ কেজি ওজনের পাঁচটি কার্পজাতীয় মা মাছ ও একটি অতিবিপন্ন প্রজাতির গাঙ্গেয় ডলফিনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন হালদা গবেষক ও চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজের জীববিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মো. শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমরা বেশ কয়েকদিন ধরে তদন্তের দাবি জানিয়ে আসছি। দূষণের উৎস চিহ্নিতকরণে পরিবেশ অধিদপ্তর ও মা মাছ ও ডলফিনের মৃত্যুর কারণ ও দূষণের উৎস শনাক্তকরণে জেলা মৎস্য বিভাগ তদন্ত কমিটি গঠন করায় সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
Leave a Reply