৩১ জুলাই রবিবার মধ্যরাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটি ঘোষণা করার পর ঘোষিত কমিটিতে যথাযথ মূল্যায়ন না করার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে বিক্ষোভ করেছে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা।
রাত দুইটা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্ট এলাকায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন শতাধিক নেতাকর্মী। পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে পদ বঞ্চিতদের পাশাপাশি যারা পদ পেয়েছেন তারা ও বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করেছেন। শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রপ ও সিএফসির নেতাকর্মীরা বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করেন।
এদিকে আজ সোমবার সকাল থেকে পদবঞ্চিতরা অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যাম্পাস অবরোধের ডাক দিয়েছেন। সুষ্ঠু কমিটির দাবিতে এই আন্দোলন করছেন বলে জানিয়েছেন তারা। এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন শাটল ও শিক্ষক বাস পৌঁছতে দেয়নি অবরোধকারীরা। এসময় অবরোধকারীদের বিরুদ্ধে শাটলের ড্রাইভারকে অপহরণ করার অভিযোগ উঠেছে। তবে অবরোধকারীরা বলেছেন শাটলের ড্রাইভারকে তারা অপহরণ করেননি। ড্রাইভার নিজ থেকেই চলে গিয়েছেন।
দীর্ঘ তিন বছর পর রোববার মধ্যরাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে কমিটিতে পদ নিয়ে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে অছাত্র, ইয়াবা ব্যবসায়ী ও জামাত-শিবিরের সহযোগীরা স্থান পেয়েছে বলে পদবঞ্চিতদের অভিযোগ। ফলে পূর্ণাঙ্গ কমিটি বাতিল করে যোগ্যতা গিদের মূল্যায়নের দাবিতে সোচ্চার রয়েছে অবরোধকারীরার।
এসময় অবরোধকারীরা বলেন, আমরা তিনটি দাবিতে অবরোধ করছি। ইয়াবা ব্যবসায়ী ইলিয়াসকে কমিটি থেকে বাদ দিতে হবে অছাত্র ও বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্তদের কমিটি থেকে বহিষ্কার করতে হবে এবং আমরা যারা দীর্ঘ সময় ধরে ছাত্রলীগ ও শেখ হাসিনার জন্য কাজ করে যাচ্ছি নতুন কমিটি করে তাদের পদ দিতে হবে।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ছাত্রলীগের একটা অংশ যারা পদ পায় নি তারা অবরোধ করছে। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ও শিক্ষকদের বাস আসতে দিচ্ছে না। শাটলের ড্রাইভারকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে ঝাউ তলা থেক। যেহেতু এটা ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় বিষয় আমরা বলতে পারছিনা অবরোধ কখন শেষ হবে। তবে আমরা ওদের সাথে কথা বলছি।’
Leave a Reply