চট্টগ্রামে রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)’র নাম ভাঙিয়ে প্রতারণা চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রাউজানের বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক, ইউপি সদস্যদের ফোন (প্রতারকের নম্বর ০১৯৫৬-৪৫৬৬১৮৬) করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য ল্যাপটপ বরাদ্দ হয়েছে মর্মে ১০ থেকে ৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকরা বিষয়টি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবহিত করলে তিনি ইউএনও অফিসে যোগাযোগ করে প্রতারণার বিষয়টি নিশ্চিত হন। এ নিয়ে রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুস সামাদ সিকদার প্রতারক চক্রের ফাঁদে পা না দেওয়ার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সতর্কতামূলক প্রচারণা চালিয়েছেন। জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ৪০-৫০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটির সভাপতি, প্রধান শিক্ষক ও বিভিন্ন ইউনিয়নের ইউপি সদস্যদের ফোন করে ল্যাপটপ বরাদ্দের কথা বলে নগদ নম্বরে টাকা পাঠানোর জন্য জানানো হয়। প্রতারক চক্রের ফোন পাওয়াদের মধ্যে দুই ইউপি সদস্য হলেন, ডাবুয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ওবাইদুল হক চৌধুরী ও মিটু শীল। তারা বলেন, ইউএনও অফিস থেকে ফোন করার কথা জানিয়ে বলেছেন প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য ল্যাপটপ বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এজন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টদের ফোন করা নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়। প্রতারক চক্রের ফাঁদে পড়ে ওই দুই জনপ্রতিনধি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকদের ফোন করে বিষয়টি জানান। প্রতারক চক্রের ফোন পেয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটির সভাপতি টাকা নিয়ে প্রতারক চক্রের মোবাইলে আর্থিক লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠান ‘নগদ’ একাউন্টে পাঠানোর জন্য প্রস্তুতি নেন। এই প্রসঙ্গে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল কুদ্দুস বলেন, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ৪০-৫০টি প্রতিষ্ঠানে একই নম্বর থেকে ফোন করা হয়। ল্যাপটপ বরাদ্দের তথ্য দিয়ে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা পাঠানোর জন্যও বলা হয়। সচেতন শিক্ষকরা আমাকে জানানোর পর আমি ইউএনও অফিসে যোগাযোগ করে নিশ্চিত হই প্রতারক চক্রের ফাঁদ। তবে কেউ ফাঁদে পা দেয়নি। আমরা সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করেছি।’ রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুস সামাদ শিকদার বলেন, বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ফোন করে ইউএনও অফিসের পরিচয় দিয়ে ল্যাপটপ বরাদ্দ পাওয়ার তথ্য জানিয়ে প্রতারণার চেষ্টা করেছে। তবে আমার জানা মতে কেউ এ ফাঁদে পা দেয়নি। সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টদের সতর্ক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে রাউজান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। তবে গতকাল বিকেল ৩টা পর্যন্ত এ বিষয়ে থানায় কেউ জিডি করেনি বলে জানিয়েছেন রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল হারুন।
Leave a Reply