1. multicare.net@gmail.com : আলোকিত রাউজান :
শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫, ০৪:২৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
রাউজান বিএনপি নেতা শিক্ষক হাবিব উল্লাহ মাস্টারের বড় বোনের ইন্তেকালঃ বিএনপির শোক মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি দক্ষিণ হিংগলা কলমপতি শাখার মহিলা কমিটি গঠন নোয়াজিষপুরে দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে চাল বিতরণ মোহাম্মদপুর স্কুল এন্ড কলেজের সভাপতি হলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন রাউজানে হক কমিটির উদ্যোগে এসএসসি উত্তীর্ণ কৃতি শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা রাউজানে অস্ত্র ও ধারালো ছোড়াসহ যুবক গ্রেপ্তার ‘অভয়াশ্রম গড়ে তুলি,দেশি মাছে দেশ ভরি’’শ্লোগানে রাউজানে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদ্বোধন রাউজানের পশ্চিম গুজরায় শ্যামাচরণ সড়কের উন্নয়নকাজে এলাকাবাসীর স্বস্তি রাজনীতি:সংকট ও আশার প্রতিচ্ছবি গোলাম আকবর খোন্দকারঃ সাফায়েত হোসেন রাকিব। সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারীর স্মরণে মিলাদ মাহফিল 

রাউজানে নষ্ট হয়ে পড়া ধান কাটা যন্ত্র। পাশে কাচি দিয়ে ধান কাটছেন শ্রমিকরা।

  • প্রকাশিত: বুধবার, ১৭ মে, ২০২৩
  • ১৭৬ বার পড়া হয়েছে

বোরো মৌসুমে ধান কাটার সময় হলেই বেড়ে যায় শ্রমিকের দাম। তথ্য-প্রযুক্তি নির্ভর অত্যাধুনিক যুগে কম্বাইন হারভেস্টার কৃষকদের জন্য আশির্বাদ হলেও বর্তমানে গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ধান কাটার এ যন্ত্রের যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন রাউজানের কৃষক পীযুষ কান্তি চৌধুরী বিশু। তিনি সরকারি ভুর্তকিমূল্য ২০লাখ টাকাসহ ৪৬লাখ টাকায় দুটি ধান কাটার যন্ত্র ‘কম্বাইন হারভেস্টার’ কিনেছিলেন। ধান কাটার যন্ত্র দুটি এলাকার শত শত কৃষকদের আশা জাগালেও বর্তমানে অচল হয়ে পড়েছে। সেজন্য সময় মতো ধান ঘরে তোলা নিয়ে শঙ্কিত কৃষকেরা। দৈনিক চুক্তিভিত্তিক ধান কাটার শ্রমিকদের মূল্য বেশি হওয়ায় ক্ষেতের পাকাধান ক্ষেতেই হচ্ছে। গতকাল বুধবার দুপুরে রাউজান উপজেলার পূর্বগুজরা ইউনিয়নের আঁধার মানিক গ্রামে সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, কম্বাইন হারভেস্টারের আশায়া যারা ধান কাটেননি, তারা বেশি মূল্যে দৈনিক চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক এনে ধান কেটে ঘরে তুলছেন। শ্রমিকের দাম কমার অপেক্ষায় থাকা কৃষকদের ধান নষ্ট হচ্ছে ক্ষেতে। স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত তিন বছরের মধ্যে প্রতিটি ২৩লাখ টাকা করে দুটি সরকারি ভুর্তকিমূল্যে কম্বাইন হারভেস্টার ক্রয় করেছিলেন বিশু। ক্রয়ের পরেই নষ্ট হয়ে যায়। পরে মেরামত করে কিছুদিন চালানো হলেও এখন একেবারেই অচল হয়ে পড়েছে। কৃষক পীযুষ কান্তি চৌধুরী বিশু বলেন, ধান কাটার যন্ত্র দুটি আমাকে যে যন্ত্রণা দিচ্ছে তা বলার ভাষা নেই। বোরো মৌসুমে ১০০ একর জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির ধানের চাষাবাদ করেছি। মাত্র পাঁচ কানি জমির ধান কেটে যন্ত্র দুটি নষ্ট হয়ে যায়। একারণে দৈনিক চুক্তিভিত্তিক ৬০জন শ্রমিক দিয়ে ধান কাটতে হচ্ছে। এতে লোকসানের আশঙ্কা রয়েছে। এতে আমার প্রায় ৩০ লাখ টাকার লোকসান হবে। এছাড়া যথাসময়ে পাকাধান ঘরে তুলতে পারব কিনা তা নিয়ে শঙ্কিত। যন্ত্রগুলো দিয়ে কৃষকদের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। নি¤œমানের যন্ত্রদ্বারা লাভ তো দূরের কথা মূল টাকা উঠবে কিনা জানিনা। রাউজান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসাইন বলেন, আমরা কয়েকদিন আগে কম্বাইন হারভেস্টার দিয়ে বিশুর ধান কাটার মধ্য দিয়ে ধান কাটা কর্মসূচীর উদ্বোধন করেছি। যন্ত্র দুটি নষ্ট হওয়ার তথ্য জেনেছি, কিভাবে নষ্ট হলো জানিনা। বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলে আমি ব্যবস্থা নিবো।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট