রাউজানে বন্যা কবলিত পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার, চাল, রান্না করা খিচুড়ি পৌঁছে দিচ্ছেন তরুণ প্রজন্মের অন্যতম প্রতিনিধি ফারাজ করিম চৌধুরী। গত বুধবার তিনি নৌকা চড়ে আবার কখনো কোমড় পানি দিয়ে পায়ে হেঁটে বন্যায় আটকে পড়া মানুষকে এসব সামগ্রী বিতরণ করেন। জানা যায়, ইতিমধ্যে ৩ হাজার ৮০০ পরিবারকে ১০ কেজি করে ৩৮ টন চাল, ৫ হাজার পরিবারকে রান্না করা খিচুড়ি এবং এলাকাভিত্তিক ২ হাজার পরিবারকে শুকনো খাবার বিতরন করা হয়েছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন রাউজান পৌর মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম, আওয়ামীলীগ নেতা আলহাজ্ব বশির উদ্দিন খান, আলমগীর আলী,জানে আলম জনি, ইউপি চেয়ারম্যান প্রিয়তোষ চৌধুরী, বি এম জসিম উদ্দিন হিরু, সেস্ট্রাল বয়েজ অব রাউজানের সভাপতি সাইদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ জামাল নকিব, সহ সভাপতি মঈনুদ্দিন জামাল চিশতী প্রমুখ। এছাড়াও ফারাজ করিম চৌধুরী দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলার বন্যা দুর্গত মানুষের জন্য ত্রাণ পাঠিয়েছেন জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে। প্রায় এক হাজার পাঁচ’শ পরিবার এ ত্রাণ সামগ্রী পাবেন। গতকাল চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান এ ত্রান গ্রহণ করেন। অপরদিকে উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও রাউজান পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে বন্যা দুর্গত পরিবারের মাঝে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করেছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। ডাবুয়া ইউনিয়নে চাল বিতরণে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান চৌধুরী, ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম, মিঠু শীল, জসিম উদ্দিন, বাদশাহ মিয়া, নাজিমুদ্দিন, আজাদ হোসেন, আসাদ হোসেন, শাহাদাত হোসেন তালুকদার, সচিব শওকত হোসেন চৌধুরী। কাউন্সিলর আজাদ হোসেন জানান, তাঁর ওয়ার্ডে দু’শত পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল দেয়া হয়েছে। রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুস সামাদ শিকদার বলেন, রাউজানে সরকারী ভাবে ৩৫ মেট্রিক টন চাউল, ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। সরকারী ভাবে পাওয়া চাউল ও টাকা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে অসহায় পরিবারদের মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে।
Leave a Reply