রাউজানে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে শাহাদাতবরণকারী শহীদ মুক্তিযোদ্ধা মো. মুছার স্মৃতি রক্ষায় নির্মিত স্মৃতিসৌধ ভাংচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নে অবস্থিত এই স্মৃতিসোধটি ভাংচুর করা হয়। এর প্রতিবাদে গতকাল ২৯ মার্চ শুক্রবার বিকালে পশ্চিমগুজরা ইউনিয়নের কাগতিয়া বাজারের উত্তর পাশে স্মৃতি সৌধের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে রাউজান উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে একাত্বতা প্রকাশ করে প্রতিবাদ সমাবেশে উপস্থিত হন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম এহেছানুল হায়দর চৌধুরী বাবুল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম, রাউজান পৌরসভার মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ, পৌর প্যানেল মেয়র আলহাজ্ব বশির উদ্দিন খানসহ আওয়ামীলীগ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ। স্মৃতিসোধ ভাংচুরের প্রতিবাদে আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সহকারী কমন্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফ খান চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা খোকন কান্তি বড়–য়া। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক তপন দে, পৌর আবু ছালেক, ইউপি সদস্য আবদুল্লাহ আল মাসুদ, আসাদ হোসেন, সাবেক ছাত্রনেতা ইমরান হোসেন ইমু, ছাত্রনেতা অনুপ চক্রবর্তী, সাবেক ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম লিটন, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, মো.আসিফ, আরমান সিকদার, নাছির উদ্দীন, ইমরান হোসেন জীবন, ওয়াহেদ বাবলু, সাজ্জাদ মাহমুদ, রায়হানুল ইসলাম। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ইউপি সদস্য আবদুল্লাহ আল মাসুদ বলেন, রাত ১১টার সময় সংবাদ পায় বহিরাগত সন্ত্রাসীরা স্মৃতিসোধ ভাংচুর করছে। আমরা গিয়ে দেখি অস্ত্র সজ্জিত হয়ে স্মৃতি সোধ ভাংচুর শুরু করে। আমরা ১০-১২ জন গিয়ে ধাওয়া দিলে তারা মাদরাসার দিকে গিয়ে অবস্থান নেয়।এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রাউজান থানার ওসি জাহিদ হোসেন বলেন, সংবাদ পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে সে বিষয়ে কেউ সঠিক তথ্য জানাতে পারেনি। তবে স্মৃতিসোধের একপাশে আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখনো পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। তিনি আরও বলেন, পাশে কাগতিয়া মদরাসার তোরণ নির্মাণের জন্য গর্ত করা আছে। এদিকে স্মৃতিসোধ ভাংচুরের ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আহবান জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধারা ।
Leave a Reply