1. multicare.net@gmail.com : আলোকিত রাউজান :
সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:৪৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে রাউজান পূজা উদযাপন পরিষদের কৃতজ্ঞতা সাংবাদিক হোসাইন জিয়াদের উপর হামলার প্রতিবাদে রাউজান প্রেসক্লাবের প্রতিবাদ সভা ১৩৩ বছরের ঐতিহ্যে রাঙা শারদীয় উৎসব: রাউজানের উত্তর গুজরা সেনবাড়ির দুর্গাপূজা রাউজানে বিজয়া সম্মিলনীর মধ্যদিয়ে দেবী দুর্গার বিসর্জন রাউজানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিসান বিন মাজেদ। নোয়াজিষপুর ইউনিয়নের ৭,৮,৯ নম্বর ওয়ার্ডের  জনসাধারণের সাথে মতবিনিময় সভা রাউজানে বিএনপির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত কদলপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শনে বিএনপি নেতৃবৃন্দ রাউজান পৌর এলাকায় পূজা মণ্ডপ পরিদর্শনে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি রাউজানে ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্টের চেষ্টা করলে প্রতিহত করা হবে

রাউজানে শত শত বিঘা নষ্ট হচ্ছে কৃষি জমি -নিরব পরিবেশ অধিদপ্তর ও উপজেলা প্রশাসন

  • প্রকাশিত: সোমবার, ২০ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ২০৩ বার পড়া হয়েছে

চট্টগ্রামের রাউজানে নির্বিচারে কাটা হচ্ছে লাল মাটির পাহাড়-টিলা। বাদ যাচ্ছে না কৃষি জমিও। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় রাতের অন্ধকারে ভেকু দিয়ে গভীর গর্ত করে মাটি কাটার মহোৎসব চলেও দেখার কেউ নেই। এতে হারিয়ে যাচ্ছে শত শত বিঘা কৃষি জমি, পরিণত হচ্ছে জলাশয়ে।বেপরোয়া হয়ে উঠেছে মাটি খেকো সিন্ডিকেট সদস্যরা।সিন্ডিকেট করে রাতের অন্ধকারে যে যেভাবেই পারছে খননযন্ত্র ভেকু দিয়ে পাহাড়-টিলা ও কৃষি জমির মাটি কেটে ড্রাম ট্রাক যোগে সরাবরাহ করা হচ্ছে  ভরাট কাজে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে গ্রামীণ জনপদ রাস্তা-ঘাট।সন্ধ্যা নেমে এলেই স্কেভেটর (খনন যন্ত্রের) শব্দ আর সারিবদ্ধ ট্রাকের আওয়াজে রাতের ঘুম হারাম স্থানীয়দের। আবার কোথাও কোথাও মাটি কাটা নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষ কিংবা কেউ সড়ক দিয়ে গাড়ি চালাচল বন্ধের চেষ্টা করলে ঘটছে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। কোনো কোনো ঘটনায় মুহুর্মুহু মুহুর্মমুহু গুলি চালানো হচ্ছে। কখনো ঝাঝঁড়া হচ্ছে প্রতিপক্ষের পা কিংবা শরীরের অংশ। একদিকে যন্ত্রতাণ্ডবে কাতরাচ্ছে রাউজানের পাহাড়-পর্বত, টিলা কিংবা সমতল ভূমি। অন্যদিকে ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে সংর্ঘষে আহত হয়ে হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন মাটি খেকোদের কেউ কেউ। এমন চিত্র রাউজান উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ০৯টি ওয়ার্ডে। স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিগত ০৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুর্থানের পর থেকে রাজনৈতিক দলের নাম ভাঙ্গিয়ে এক শ্রেণীর দুষ্কৃতিকারী বেপরোয়াভাবে মাটি কাটা হচ্ছে। এসব মাটি দ্বারা পুকুর, কৃষি জমি ভরাট করা হচ্ছে। 

সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, রাউজান উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের রাবার বাগান এলাকায়, উত্তর সর্তা, গর্জনিয়া এলাকায় কৃষি জমি ও টিলা কাটা হচ্ছে। রাউজান পৌরসভার নয় ওয়ার্ডের  কাজী পাড়া, আইলিখীল দাওয়াত খোলা রাবার বাগানের পাশে টিলা ও কৃষি কাটা হচ্ছে। কাজীপাড়ায়  কৃষি জমি ও টিলা কাটা হচ্ছে। ডাবুয়া ইউনিয়নের কলমপতি এলাকা কৃষি জমি কাটা হচ্ছে। রাউজান সদর ইউনিয়নের রশিদর পাড়া, জয়নগর বড়ুয়া পাড়া এলাকায় কৃষি জমি ও টিলা কাটা হচ্ছে। কদলপুর ইউনিয়নের আশ্রম প্রকল্পের পাশে,  শমসের নগর, নতুন পাড়া এলাকায় কৃষি জমি কাটা হচ্ছে। পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের ডোমখালী ও রাম বাজার পড়ে কমিউনিটি সেন্টারের পিছনে কৃষি জমি কাটা হচ্ছে। নোয়াজিষপুর-গহিরা হেঁয়াকো সড়কের পল্লী কানন কনভেনশন কমিউনিটি সেন্টারের পাশে ভেকু দিয়ে কৃষি জমি কাটা হচ্ছে। এসব টিলাভূমি ও কৃষি জমি কেটে মাটি বিক্রি করা হয়েছে। আবার কোথাও কোথাও কৃষি জমি কেটে মাছের ঘের তৈরি করা হচ্ছে। টিলাভূমির বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষ নিধন করা হচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ ওই এলাকার আবদুল কাদের ওরফে কলা কাদেরসহ একটি সিন্ডিকেট মিলে ধারিচ্ছে টিলা নামক একটি টিলাভূমি কেটে মাটি বিক্রি করেছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে আবদুল কাদের বলেন, আমি কোনো টিলা কাটছি না, ইলিয়াছ কাটছে। হলদিয়া ইউনিয়নে দুটি টিলাভূমি কাটা হচ্ছে বলে দাবি তার। এক একটি মাটি কাটা সিণ্ডিকেটে ২০-৩০ জন জড়িত বলে জানা যায়।  সংশ্লিষ্টরা সিন্ডিকেট করে একাধিক গ্রুপ জমির মালিককে মোটা অংকের টাকা দিয়ে কৃষি জমির ২০-৩০ ফুট গভীর করে মাটি কেটে বিভিন্ন এলাকায় জমি, ডোবা ও পুকুর ভরাটে সরবরাহ করছে। আর জমির মালিকরা লোভে পড়ে নগদ টাকার আশায় কৃষি জমির মাটি বিক্রি করে দেন। ২০-৩০ ফুট গভীর করে মাটি কাটার ফলে ধীরে ধীরে ফসলি জমি ডোবা বা পুকুরে পরিণত হচ্ছে।গভীর গর্ত করে মাটি কাটায় পরিবেশ ও প্রতিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। যা জলবায়ুর ওপর প্রভাব পড়বে। এভাবে কৃষি জমি নষ্ট করায় ফসল উৎপাদন কমে যাচ্ছে।মাটি কাটার সঙ্গে জড়িত থাকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, ‘আমরা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে অনুমতি সাপেক্ষ মাটি কাটছি।’ সচেতন মহলের দাবি উপজেলাজুড়ে যন্ত্রতাণ্ডব চললেও প্রশাসন কোনো ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। পরিবেশ অধিদপ্তর কিংবা উপজেলা প্রশাসনের নিরব ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা। স্থানীয় বাসিন্দারা  বলেন, এভাবে কৃষি জমির মাটি কাটায় শুধু এলাকার ক্ষতি হচ্ছে না, সারা দেশেরই ক্ষতি হচ্ছে। কারণ কৃষি জমি নষ্ট হওয়ায় দেশের ফসল উৎপাদন কমে যাচ্ছে। ফলে কৃষি পণ্যের দাম দিন দিন আরও বাড়বে। কৃষি জমি রক্ষায় সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) অংছিং মারমা বলেন, ‘রাউজানে যেখানে যেখানে টিলা ভূমি ও কৃষি জমি কাটা হচ্ছে, ওইসব এলাকায় শীঘ্রই  অভিযান পরিচালনা করা হবে।  

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট