সংঘর্ষের ঘটনায় দু’ গ্রুপের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে । মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিকেল ৪টায় পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের গহিরা সত্তারঘাট এলাকায় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকারের অনুসারী এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারীদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।এ সময় ইট-পাটকেল,পঁচা ডিম নিক্ষেপ,ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়াসহ গুলাগুলির ঘটনা ঘটে। জানা যায়,হামলায় গোলাম আকবর খোন্দকার সহ রাউজান উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন,সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাসিম উদ্দিন চৌধুরী,গোলাম আকবর খোন্দকারের পিএস অর্জুন কুমার নাথ,জি এম মোরশেদ,এপিএস আসিকুর রহমান, যুবদলে নেতা সাজ্জাদ হোসেন,বিএনপি নেতা আওরঙ্গজেব সম্রাট, নাঈম উদ্দিন মিনহাজ,মোহাম্মদ হুমায়ুন সহ প্রায় ২০ জন আহত হয়েছে। অপরদিকে গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী মধ্যে একজন গুলিবৃদ্ধসহ আহত হয়েছে হেলাল, তাসফি,সুমন গাজি সুলতান, রেওয়াজ উদ্দিন,নিজাম উদ্দিন,অনিক
মিরাজ, জনি,রিয়াদ বিনাজুরি, আজগর, শাহাদাৎ মিজা
রিবন,আমির, ইমন, সাজ্জাদ,সুমন,সাইমন, রিপনগিয়াস উদ্দিন মুন্না,তারেক, সোহেল চৌধুরী রবিউল, আব্দুর শুক্কুর। আহতরা সরকারি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। সংঘর্ষে আহত হওয়ার পাশাপাশি গোলাম আকবর খোন্দকারের ব্যবহৃত গাড়িসহ বেশ কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুরসহ ৩-৪টি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। ওসির গাড়িও ভাঙচুর হয়েছে। ঘটনাস্থলে রাউজান থানা পুলিশের পাশাপাশি উপস্থিত হয়েছেন, র্যাব, সেনাবাহিনীর টিম। বর্তমানে রাউজানে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।এই বিষয়ে গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী সমর্থিত উত্তর জেলা যুবদলের সহসভাপতি সুলতান কাজল বলেন, ‘আগামী ৯ আগস্ট রাউজানে জুলাই শহীদদের স্মরণে রাউজান কলেজ মাঠে বিএনপির কর্মসূচি রয়েছে। এ কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা বের করেছি। শোভাযাত্রাটি গহিরা সত্তারঘাট এলাকায় গেলে শহর থেকে গোলাম আকবর খোন্দকারের নেতৃত্বে রাউজানের দিকে আসা নেতাকর্মীরা অতর্কিতভাবে আমাদের উপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে হামলা চালায়। সংঘর্ষে আমাদের তিনজন গুলিবিদ্ধসহ ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী অনুসারী রাউজান পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মঞ্জুরুল হক বলেন, আগামী ৯ আগস্ট রাউজান কলেজ মাঠে জুলাই শহীদদের স্মরণে আমাদের একটি গণ সমাবেশের কর্মসূচি রয়েছে। এই সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে আমরা মোটরসাইকেল নিয়ে প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছি। আমাদের গাড়ি বহর সত্তারঘাট এলাকায় গেলে গোলাম আকবর খোন্দকারের নেতৃত্বে অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। এতে আমাদের ১৫-২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে।বিএনপি নেতা গোলাম আকবর খোন্দকার অভিযোগ করে বলেন,গত বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) রাউজান উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এবং চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ ইন্তেকাল করেন। মঙ্গলবার তার কবর জেয়ারতের উদ্দেশ্যে পৌরসভার বড়বাড়ি পাড়া যাচ্ছিলাম। গহিরা সত্তারঘাট ব্রিজ পাড় হলে গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারীরা আমার গাড়ি বহরে অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। এতে আমাকে লক্ষ্য গুলি ছোড়া হয়। গুলিটি আমার ঘাঁড়ে ঘেষে পেছনে চলে যায়। আমার বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীও আহত হয়েছেন। এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলত শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘রাউজানে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে কয়েকজন আহত হয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি।’
Leave a Reply