
রাউজানে যুবদল নেতা আলমগীর আলম হত্যার তিনদিন পর রাউজান থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। সোমবার (২৭ অক্টোবর) রাতে নিহতের পিতা আব্দুস সত্তার বাদী হয়ে ২১ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ৫/৬ জনকে আসামী করে এ মামলা দায়ের করেন। মঙ্গলবার পুলিশ এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনার এজাহার ভূক্ত দুইজনকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করে কারাগারে পাঠিয়েছে। আটককৃতরা হলেন রাউজান কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রাউজান সদর ইউনিয়নের হরিশখান পাড়া এলাকায় মৃত নুরুল আমিন কেরানির পুত্র রাসেল খান (২৮) ও স্থানীয় ছাত্রদল কর্মী ও পৌর এলাকার ৯নং ওয়ার্ডের রহমত পাড়া কামাল চুনা করিমের পুত্র মোহাম্মদ হৃদয় (২২)। তবে আটক সাবেক ছাত্রনেতা রাসেল খান খুনের ঘটনায় জড়িত নয় বলে জানান স্থানীয় লোকজন। ক্লিল ইমেজের এই নেতা সাংগঠনিক ভাবে সক্রিয় রাজনীতির করতেন। স্থানীয় আকতার হাসেন নামে এক ব্যবসায়ী জানান, ষড়যন্ত্র করে হত্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে তাকে। তিনি তার মুক্তি দাবি করেন। অপরদিকে রাসেল খানের গ্রেফতারকে ভালো চোখ নেননি বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। প্রতিবাদে বিক্ষোভ অবরোধ করে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান দলের পক্ষ থেকে। রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, নিহত আলমগীর আলম হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ২১ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ৫/৬ জনকে আসামী করে নিহতের পিতা এ মামলা দায়ের করেন। এ মামলার এজাহার ভুক্ত দুইজনকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
অপরদিকে সোমবার মধ্য রাতে রাউজান সদর ইউনিয়নের হরিশখান পাড়াস্থ নিজ বাড়ি থেকে ছাত্রদল নেতা রাসেল খানকে আটকের পর উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাউজান। সকাল ১১ টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করে তারা। বেলা ১২টার দিকে উপজেলা সদরের মুন্সিরঘাটা দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি মিছিল শুরু হয়। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি সাবের সুলতান কাজলের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলটি চট্টগ্রাম–রাঙামাটি মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে জলিলনগর ও ফকিরহাট হয়ে শেষে করে মুন্সিরঘাট চৌরাস্তায় এসে।পরে বিক্ষোভকারীরা প্রায় এক ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখেন। এতে চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়। সাধারণ যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়ে। বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা যুবদলের সহ সভাপতি সাবের সুলতান কাজল, উত্তর জেলা যুবদলের যোগাযোগ সম্পাদক সৈয়দ তৌহিদুল আলম, জেলা যুবদল নেতা নিজাম উদ্দিন সুজন, মোহাম্মদ আলী মুন্না, শাহাদাত মির্জা, আলী সুমন, কাজী বাদশা, সেকান্দর মিয়া হিরু, মোহাম্মদ রেওয়াজ, আবদু শুক্কুর, শহিদুল ইসলাম, আলমগীর, সালাউদ্দিন, জাবের উদ্দিন জাবেদ, মঞ্জুর আলম, আনোয়ার হোসেন বাচলু, দেলাওয়ার খান জয়, জাশেদ চৌধুরী, কামাল উদ্দিন, নাজিম উদ্দিন, কাজী সোহেল, মোহাম্মদ মাসুম, হারুন প্রমুখ। কর্মসূচি থেকে জেলা যুবদলের সহ সভাপতি সাবের সুলতান কাজল রাসেল খানের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন এবং নেতাকর্মীদের বিনা কারণে হয়রানি বন্ধের আহ্বান জানান থানা পুলিশকে।
Leave a Reply