
রাউজানে একই রোগের দুইটি প্যাথলজিক্যাল রিপোর্টে গরমিলের অভিযোগ করেছেন এক প্রবাসী রোগী। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে।ভুক্তভোগী প্রবাসী এস. এম. ইউনুচ আমিন (৪২), উপজেলার ডাবুয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা। তিনি জানান, গত ২৭ অক্টোবর সকালে রাউজানের গহিরা জেকে হাসপাতালে এইচবিএ১সি (HBA1.C) পরীক্ষার জন্য রক্ত দেন। ওই দিন সন্ধ্যায় রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর তা তিনি তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. সাইদুল আলম রাজিবের কাছে দেখান।ডা. রাজিব জানান, রিপোর্টে রোগীর এইচবিএ১সি’র মান ১১.২% দেখানো হয়েছে, যেখানে স্বাভাবিক সীমা ৪.০ থেকে ৬.৫% পর্যন্ত। তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, “রিপোর্টটি সঠিক হলে রোগীর এতক্ষণ বেঁচে থাকার কথা নয়।”
এরপর তিনি রোগীকে পুনরায় পরীক্ষা করার পরামর্শ দেন। চিকিৎসকের পরামর্শে গত শনিবার ইউনুচ আমিন পুনরায় একই পরীক্ষা করান নগরীর এপিক হেলথ কেয়ারে। রবিবার সন্ধ্যায় পাওয়া রিপোর্টে দেখা যায়, তার এইচবিএ১সি’র মান ৫.৬%, যা সম্পূর্ণ স্বাভাবিক।
এপিক হেলথ কেয়ারের রিপোর্টে স্বাক্ষর করেন ডা. সানজিদা মামুন ও বায়োকেমিস্ট সৌরভ দেবনাথ। অন্যদিকে, গহিরা জেকে হাসপাতালের রিপোর্টে স্বাক্ষর করেন ডা. জাকের হোসাইন।জেকে হাসপাতালে একাধিকবার ফোন করেও কোনো কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।ভুক্তভোগী এস. এম. ইউনুচ আমিন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,এধরনের ভুল বা ভুয়া রিপোর্ট দিলে সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে? আমি চাই, এসবের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হোক।”দুটি প্যাথলজিক্যাল রিপোর্টের কপি এই প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে।
Leave a Reply