রাউজান উপজেলার ১৩ নং নোয়াপাড়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের পশ্চিম কচুখাইন এলাকায় কৃষি জমি ভরাট করে পাকা ঘর নির্মানের হিড়িক পড়েছে। রাউজানের নোয়াপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাবুল মিয়া ভারত সফরে যাওয়ার পর থেকে কৃষি জমি ভরাট করে তড়িঘড়ি করে পাকা ঘর নির্মান করার এই হিড়িক পড়েছে বলে জানা যায়। পশ্চিম কচুখাইন এলাকার আবদুল ছালাম মিস্ত্রি, জাহেদুল আলম বুচু, মোহাম্মদ মামুন, কাজী রফিক সহ দশটি স্পটে কৃষি জমি মাটি ভরাট করে পাকা ঘর নির্মান অব্যহত রেখেছে । এ ব্যাপারে নোয়াপাড়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার শাহিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চেয়ারম্যান দেশের বাইরে চলে যাওয়ার পর পশ্চিম কচুখাইন এলাকায় দশটি স্পটে কৃষি জমি ভরাট করে পাকা ঘর নির্মান কাজ করছে। আমি নিষেধ করলে ও আমার নিষেধ অমান্য করে কৃষি জমি ভরাট করে পাকা ঘর নির্মান করছে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। রাউজানের নোয়াপাড়া ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সুশীল দাশের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পশ্চিম কচুখাইন এলাকায় কৃষি ভরাট করে পাকা ঘর নির্মান করার বিষয়টি আমি অবগত নয়। খোজঁ নিয়ে কৃষি ভরাট করে পাকা ঘর নির্মান কাজ বন্ধ করে দেওয়া হবে। রাউজানের বিভিন্ন এলাকায় কৃষি জমি ভরাট করা প্রসঙ্গে রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুস সামাদ সিকদার বলেন, কৃষি ভরাট কারীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। রাউজানের কচুখাইনে পুকুর ভরাট করার সাথে জড়িতেদের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। পুকুর ভরাট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গত ১২ ফেব্রুয়ারী রবিবার বিকালে রাউজানে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মধ্যে ঢেউটিন ও টাকা বিতরন অনুষ্ঠানে রেলপথ মন্ত্রনালয় সর্ম্পকিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবি এম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি তার বক্তব্যে বলেন, রাউজানে কোন কৃষি জমি কেউ ভরাট করতে পারবেনা।
Leave a Reply