বর্ষা মৌসমে রাউজান উপজেলার নোয়াজিষপুর ইউনিয়নের নদিমপুর এলাকায় হালদা নদীর ভাঙনে মানুষের বসতবাড়ী ও ফসলি জমি গুলো বিলীন হয়ে নদীর পেটে চলে যাচ্ছে। আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে নোয়াজিষপুর ইউনিয়নের নদিমপুর গ্রামের কয়েক’শ পরিবার। হাটহাজারী গুমান মর্দ্দন ইউনিয়নের অংশের মানুষদের জন্য পাথর ব্লকে বসিয়ে নিরাপদ করা হলেও নদীর রাউজানের নোয়াজিষপুর অংশে অনেক এলাকার মানুষ এখন ভাঙ্গনে পড়ে বাড়ি ঘর হারানোর আশঙ্কা মধ্যে রয়েছে। তাদের অনেকের ফসলি জমি নদীর পেটে চলে গেছে।সরেজমিনে দেখা গেছে, নদীর হাটহাজারী অংশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্পে পাথর ব্লক বসিয়ে দীর্ঘ বেরিবাঁধ নির্মাণ করায় ভাঙন রোধ সম্ভব হয়েছে। কিন্তু রাউজানের নোয়াজিষপুর অংশে সেই ধরনের স্থায়ী কোনো বাঁধ বা সুরক্ষা ব্যবস্থার দেখা মেলেনি। হালদা ভাঙনে চরম হুমকিতে রয়েছে নদিমপুর ইন্দিরাঘাট বাজারসহ নদিমপুর গ্রামের কয়েক’শ পরিবারের বসতবাড়ী। হালদা নদী ভাঙন রোধে বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী। রোববার দুপুরে নদিমপুর গ্রামের শতাধিক লোকজন এই ভাঙন রোধে বাঁধ নির্মাণের দাবি জানান। স্থানীয় বাসিন্দা এনামুল হক কাঁপা গলায় বলেন, হালদার গর্ভে এক একর জমি গেল, এখন শেষ সম্বলটুকুও পড়ার পথে। এভাবে চলতে থাকলে আমরা রাস্তায় দাঁড়ানো ছাড়া উপায় দেখছি না।স্থানীয়রা জানান, নদিমপুর ইন্দিরাঘাট বাজার থেকে তৈলপালি খালের ব্রিজ পর্যন্ত হালদা পাড়ে দেড় কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ করা না হলে শীঘ্রই নদিমপুর আশেপাশের এলাকা মানচিত্র থেকে মুছে যাবে। নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যাবে গ্রামটি। অবিলম্বে হালদা নদীর ভাঙন রোধে বাঁধ নির্মাণের দাবি জানান তাঁরা। শুধু হালদা নয়, নোয়াজিষপুর নতুন হাট বাজার থেকে চিকদাইর হক বাজার পর্যন্ত সর্তা খালের ভাঙনেও চরম হুমকিতে রয়েছে অন্তত ২০টি গ্রাম। প্রতি বছর বর্ষা ও পাহাড়ি ঢলে ফসলি জমি, ঘরবাড়ি ও গ্রামীণ সড়ক চলে যায় পানির নিচে।রোববার দুপুরে হালদা ও সর্তা খাল ভাঙন কবলিত নোয়াজিষপুর, নদিমপুরের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনে আসেন চট্টগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফ উদ্দিন। পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন উত্তর জেলা যুবদলের সাবেক অর্থ সম্পাদক ও সমাজসেবক সেলিম উদ্দিন, রাউজান উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন, বিএনপি নেতা দিদারুল আলম ওয়াহেদী ,এরশাদুল ইসলাম, গিয়াস উদ্দীন, নুরুল আসলাম কায়সার, যুবদল নেতা ফয়সাল হোসেন, সরোয়ার সাহেদ, তৌহীদ, আবু আহমদ, মোহাম্মদ বাবু, তারেক, গিয়াসউদ্দীন মুন্না, রুবেল, গাজী মোরশেদ, মোঃ সুমন, সুজন নূর আলী, দোস্ত মোহাম্মদ, ফজল করিম, মোঃ মামুন,সবুর সওদাগর, বাসেক, রাশেদ, সজিব, আরমান, জাহেদ, মোহাম্মদ সফিউল বশরসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।নদীপাড়ের মানুষগুলোর চোখে এখন একটাই আশা,একটি বাঁধ, যা তাদের বাঁচাবে এই নিঃশব্দ বিলয় থেকে।এলাকাবাসী দ্রুত হালদা নদী ও সর্তা খালের ভাঙনরোধে কার্যকর ও টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
Leave a Reply